ঢাকা, ২৫ মে: আমেরিকার হুঁশিয়ারির পর অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিল বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেদেশের সাধারণ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ ও অবাধ হয়, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যাতে কেউ হস্তক্ষেপ না করতে পারে এবং যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোটগ্রহণ ও গণনা সম্পন্ন হয়, তা নিশ্চিত করা হবে।
আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে হাসিনা সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। ক্ষমতায় আসবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই সরকারের অধীনেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে সূত্রের খবর, প্রতিবার যখন সাধারণ নির্বাচনের সময় চলে আসে, তখন চিন্তিত হয়ে পড়েন দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়। তাঁরা আশঙ্খা প্রকাশ করেন, যদি এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না আসতে পারে, তাহলে দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। তাঁদের ধারণা, বিএনপি ক্ষমতায় এলে যেকোনও মুহূর্তে ১৯৭১ সালের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এর আগে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা একাধিকবার সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়েছেন। বহু সংখ্যালঘুকে হত্যার অভিযোগও উঠেছে। পাশাপাশি, খালেদা জিয়ার বিএনপি-র বিরুদ্ধেও সাধারণ নির্বাচনের সময় জোর করে ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছে।
যদিও আওয়ামী লীগের শাসনকালেও দল ও সরকারের ভিতরে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধেও মৌলবাদী তোষণের অভিযোগ উঠেছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ওপর নির্যাতনের ঘটনারও অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে। এদিকে এই অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রতি আমেরিকার মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যদি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে কেউ কারচুপির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁকে মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। সেই হুঁশিয়ারির মুখে পড়ে বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
পাশাপাশি, বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে চিন্তিত নয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি বিবিসি-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই নয়া ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশর সরকার ‘বিচলিত নয়’।
next post