বালেশ্বর, ৩ জুন: একই সঙ্গে তিনটি রেল পড়েছে এই দুর্ঘটনার কবলে। একদিকে হাওড়া থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। এই দুই ট্রেনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে একটি মালগাড়ি। ওড়িশার বাহানাগা স্টেশনের এই ঘটনায় মৃত্যুতে জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৯৫ জন। জখম হয়েছেন প্রায় ৬৫০ জন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বহু জখম যাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে আজ কাকভোরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। খবর পেয়ে গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘রেলের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তার তদন্তের জন্য গতকাল রাতেই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করবে। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব রেলের নিরাপত্তা কমিশনার স্বতন্ত্রভাবে এই ঘটনার তদন্ত করবে। এখন উদ্ধার কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য, জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তাঁরা যেন পর্যাপ্ত চিকিৎসা পান এবং সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিকটবর্তী শহর কলকাতা, ভুবনেশ্বর ও কটকের মতো হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে আহতদের দ্রুত ও পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।’
previous post
next post