সংবাদ কলকাতা: দুটি ঘটনা ঘটেছে দুটি ভিন্ন সময়ে। প্রায় দুই দশকের ব্যবধানে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। বাংলায় রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের সঙ্গে এবার বিহারের পশু খাদ্য কেলেঙ্কারির যোগ। কিভাবে হল এই যোগসূত্র? ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত দুই অভিযুক্তের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে।
প্রসঙ্গত অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের আটা ও চালকল, কর্পোরেট অফিস ও ডিরেক্টরের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি-র দাবি, এই অঙ্কিত ইন্ডিয়ার দুই ডিরেক্টর বিহারের পশু খাদ্য মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন। এই সংস্থার এই দুই ডিরেক্টর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে ইডি-র দাবি। জানা গিয়েছে, অঙ্কিত ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের নামে বাংলায় একাধিক ব্যবসা রয়েছে।
রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে আসা হল। ইডি হেফাজত শেষ হওয়ার পর আজ দুপুর ২টোর পর তাঁকে নিয়ে আসা হল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। আজকেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য ইডি আধিকারিকরা আদালতে আবেদন করবেন বলে জানা গিয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, এই কোম্পানির দুজন ডিরেক্টর দীপেশ চন্দক এবং হিতেশ চন্দক। ১৯৯৬ সালে বিহারের পশু খাদ্য মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে এই দুজনের নাম উঠে এসেছিল সিবিআইয়ের হাতে। সেসময় গ্রেপ্তার হন দীপেশ ও হিতেশ চন্দক। ওই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে দীপেশ ও হিতেশ চন্দক ছাড়া পান। দীপেশ রাঁচির সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের সামনে বয়ান দিয়েছিলেন। তিনি ৬০ কোটি টাকা লালু প্রসাদ যাদবকে দিয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, বিহারের পশু খাদ্য দুর্নীতি মামলার সঙ্গে এবার জুড়ে গেল এই রাজ্যের রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলা।
next post
