29 C
Kolkata
August 2, 2025
দেশ

বাংলায় বাঙালি বিচারপতির প্রশংসা, চর্চায় দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়

দিল্লি– স্পষ্টবক্তা হিসেবে সুপরিচিত ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়৷ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস একটি তালিকায় ২০২৪ সালের ১০০ জন মোস্ট পাওয়ারফুল ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম দশে রয়েছেন প্রধান বিচারপতি৷ এবার সেই প্রধান বিচারপতির কণ্ঠেই উঠে এল বাঙালির প্রশংসা৷ প্রধান বিচারপতির মুখে বাংলা ভাষায় বাঙালির প্রশংসা শুনে আপ্লুত আপামর বাঙালি৷
১০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু তাঁর পদ থেকে অবসর নেন৷ সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি তাঁর বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করে৷ সেই সময় অনিরুদ্ধে বসুর ঢালাও প্রশংসা করেন চন্দ্রচূড়৷ বিচারপতি বসুকে ‘প্রকৃত ভদ্রলোক’ বলে সম্বোধন করে তিনি৷
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা বিচারপিত বসুকে মিস করব৷ উনি একজন প্রকৃত বাঙালি ভদ্রলোক৷ আমরা ওঁর সংস্পর্শে থেকে কাজ করতে পেরেছি এটা অত্যন্ত সম্মানের৷ ওঁর জীবনের নতুন অধ্যায়ের জন্য অনেক শুভ কামনা রইল৷ বিচারপতি অনিরুদ্ধ একজন খুব শিক্ষিত, পরিশ্রমী, ন্যায়প্রিয় এবং দয়ালু ব্যক্তি৷ তিনি এমন একজন বিচারক যিনি দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতি ন্যায়বিচার করতে চেয়েছেন সর্বদা৷’
আইনের পাশাপাশি বিচারপতি বসুরও আগ্রহ রয়েছে সাহিত্য-সংস্কৃতি, ইতিহাস, কাব্যচর্চ্চায়৷ আর তা নিয়েও তাঁর ঢালাও প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি৷ বলেন, ‘বিচারপতি বসু প্রযুক্তি ব্যবহারে সর্বদা স্বাচ্ছন্দ্য ছিলেন৷ কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপিত থাককালীন উনিই প্রথম ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করেছিলেন৷’ পালটা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু৷ বলেন, ‘গত ৬০ বছরে যা শিখেছি তার থেকে অনেক বেশি শিখে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বছরের মেয়াদে৷’ বিচারপতি বসুর অবদানের কথা তুলে ধরে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে তাঁর মেয়াদকালে, তিনি ডেটা গোপনীয়তা আইন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, পশু অধিকার এবং ইতিবাচক পদক্ষেপের মতো জনস্বার্থের বিষয়ে যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন৷’
প্রসঙ্গত, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু কলকাতার সেন্ট লরেন্স হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি.কম ডিগ্রি লাভ করেন৷ তারপর সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন৷ ১৯৮৫ সালে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টে সাংবিধানিক, নাগরিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে অনুশীলন শুরু করেন৷ ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে, তিনি কলকাতা হাইকোর্টে স্থায়ী বিচারপতি পদে নিযুক্ত হন৷ তারপর ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে তিনি ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন৷ এর পরে, ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসাবে পদোন্নতি পান৷

Related posts

Leave a Comment