সংবাদ কলকাতা, ২৮ অক্টোবরঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর কতদিন আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে এতবড় সাইক্লোন গিয়েছিল ?
সত্তরের দশকের শুরুতেই সাইক্লোন ভোলা বাংলাদেশে তিন লক্ষের বেশি প্রাণ নিয়েছিল।তারপর 1991 সালে নামকরণের পূর্বেই একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ে ! আর এখন দীর্ঘ একত্রিশ বছর আবার কোনও ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে ঢুকল।
শেষ খবর অনুযায়ী, 45 জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বেসরকারি মতামত হল 500 জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে! বাংলাদেশের পরে সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে।
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাঝে, নেমে পড়েছেন রেইনম্যান একটি অত্যন্ত আশ্চর্য দাবি নিয়ে। এরপর থেকে সব সাইক্লোন নাকি বাংলাদেশ দিয়ে যাবে। কারণ, তিনি দাবি করেছেন, শিলচর শহরে দশমীর দিনে তাঁর করা প্রোগ্রামের জন্যই সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতে বন্যা, বৃষ্টি এবং এই সাইক্লোন।
এটা ঠিক যে, বিভিন্ন মিডিয়াতে সাক্ষাৎকারে উনি বলেছেন, গত বছর ঠিক পুজোর পরে পরেই কলকাতায় একটি ঘূর্ণিঝড় আসার কথা ছিল। তৎসহ আবার ঘটেছিল আরেকটি জঘন্য ঘটনা। অষ্টমীর দিনে বাংলাদেশে দুর্গা পূজা মন্ডপে জিহাদি আক্রমণ। দেরি না করে দ্বাদশীর দিন Rain man চলে এলেন শিলচরে। টানা তিন দিন ধরে বরাক নদীর তীরে একটি বাড়ির ছাদে বাজালেন বাঁশি।
উদ্দেশ্য? বাংলাদেশে সাইক্লোন নিয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিকভাবেই কলকাতাকে বাঁচানো।
নিম্নচাপটি তখনও পুরোপুরি সাইক্লোন হয়নি। তার আগেই সেটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং প্রবল বৃষ্টিপাত করে ভাসিয়ে দেয় সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারত । Rainman দাবি করছেন, এই যে আবহাওয়ার গতিপথ বদল হল, তার জন্য নতুন পথ তৈরি করল সিত্রাং। বাংলাদেশকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি Rainman আসাম সরকারকেও ক্রমাগত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এবার রেইনম্যানের বক্তব্য হল, আসামের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে সমস্ত বাঙালি হিন্দুকে মুক্তি দিতে হবে।
জিহাদের কারণে তাড়া খাওয়া বাঙালি হিন্দু আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে বন্দী হয়ে আছে। অথচ রোহিঙ্গারা সারা ভারতে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিশ্ব শর্মাকে বারবার চিঠি লেখা এবং বলা সত্বেও কোনও কাজ হয়নি।
বারবার ইউটিউব থেকে ভিডিও করে হেমন্তকে উদ্দেশ্য করে উনি এই হুমকি দিয়ে আসছেন। এবছরের বিধ্বংসী বন্যার পরে হেমন্তর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
কিন্তু হেমন্তবাবু রাজি হননি।
rainman অগত্যা একটি ধরনা কর্মসূচির ঘোষণা করেন। কিন্তু আসাম থেকে প্রতিষ্ঠিত বাঙালিরা এর বিরোধিতা করায় পুজোর আগে কর্মসূচি বাতিল হয়। ঘূর্ণিঝড় Sitrang পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পরে শিলচর যাওয়ার প্রোগ্রাম প্রায় ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আইএমডি জানায় Sitrang এর গতিপথ ও নিশানা উত্তর পূর্ব ভারতে হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
পরের সাইক্লোনও কি বাংলাদেশ হয়ে আসামে যাবে?
Rainman ঠিক তাই বলছেন।
কিন্তু কিসের ভিত্তিতে এমন একটি প্রাকৃতিক ব্যাপারে তিনি এরকম কথা বলতে পারেন?
তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 2009 পর্যন্ত সমস্ত ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ কিংবা অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ত।
কিন্তু আইলার পর থেকে এই ধারাবাহিকতা পাল্টে যায়। পরপর অনেকগুলো সাইক্লোন–আম্ফান, বুলবুল, ফনি, হুদহুদ সুন্দরবন হয়ে কলকাতার দিকে এগিয়ে আসে।
রেইনম্যানের বক্তব্য হল, গতবছরে শিলচরের পরীক্ষার জন্যই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখের পরিবর্তন হয়েছে এবং এই সিলসিলা চলতে থাকবে, যতদিন না পরবর্তী পরীক্ষায় অন্য কোনও দিক নির্দেশ করা হচ্ছে। অথবা পরিমণ্ডলের কোনও রকম আমূল পরিবর্তন হচ্ছে।
এখন ঘটনা হল Rainman গত বিধানসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। কোনওরকম বক্তৃতায় না গিয়েই শুধু রাস্তায় রাস্তায় বাঁশী বাজিয়েছেন। এবং যে কদিন যাদবপুরের রাস্তায় বাঁশি বাজিয়েছেন, সেই কদিনই যাদবপুরে বৃষ্টি হয়েছে। তাও আবার এপ্রিল মাসে। আবার শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের এলাকায় এমনকি বেহালাতেও বৃষ্টি হয়নি অথচ যাদবপুরে হচ্ছে!
এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানার জন্য শীঘ্রই ওনার সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে। এবিষয়ে সংবাদ কলকাতা ইউটিউব চ্যানেল ও নিউজ ওয়েবসাইটে www.sangbadkolkata.com-এ চোখ রাখুন।
next post
