সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৭৫ বছর। কংগ্রেস থেকে বাম, বাম থেকে তৃণমূল- এই দীর্ঘ সময়েও স্বরূপনগরের বিথারী মৌজার একাধিক গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি এখনও পাকা হয়নি। কৃষিজীবীর পাশাপাশি এইসব এলাকায় বহু বিত্তশালী পরিবারের বাস। রাস্তার দুপাশে রয়েছে একাধিক একতলা ও দোতলা বাড়ি। কোথাও রয়েছে তিনতলা ও চারতলার সুরম্য অট্টালিকা। ফলে মানুষের জীবন যাত্রার মানও বেড়েছে বহুগুণ।
কিন্তু এখনও অনেক রাস্তায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজ শুরুই হয়নি। বর্ষার সময় এখানকার গ্রামের কৃষিজীবী পরিবারগুলি চরম সমস্যার সম্মুখীন হন। ফসল নিয়ে যাওয়া ও চাষের সময়েও চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কৃষকদের। ৩৪ বছরের দীর্ঘ বাম জমানাতেও এই বিথারী মৌজার একাধিক রাস্তা থেকে গিয়েছে অনুন্নয়নের অন্ধকারে। রাজ্যে প্রায় এক যুগ ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও এখনও বহু রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, তেঁতুলিয়া হাকিমপুর রোডের সঙ্গে সংযুক্ত বিথারী খাঁ পাড়া থেকে পবনকাটি পর্যন্ত রাস্তাটি এখনও ইটের রাস্তাই রয়েছে। কোথাও কোথাও মারাত্মকভাবে রাস্তা ভেঙেও গিয়েছে। এই রাস্তার অধিকাংশ বর্ষার সময় কাদায় ভরে যায়। অন্যদিকে তেঁতুলিয়া হাকিমপুর রোডের সঙ্গে সংযুক্ত বিথারী বৈষ্ণবতলা থেকে যে রাস্তাটি রাণী রাসমণির সেজ জামাই মথুরমোহনের বাড়ির দিকে গিয়েছে, সেটিও খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। রাস্তাটির কোথাও কাঁচা, কোথাও পাকা। কোথাও ভাঙাচোরা আর গর্তে ভরা। বাম জমানার দীর্ঘ ৩৪ বছরেও এই রাস্তার প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি। মাঝে মধ্যে মাটি ফেলা হলেও পাকা রাস্তা করার কথা কোনও কমরেড একবারও ভাবেননি।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এই পঞ্চায়েতেরই বাসিন্দা ও বিথারী কে পি হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আনিছুর রহমান দীর্ঘ সময়ের বিধায়ক থাকলেও বৈষ্ণবতলার রাস্তা পাকা করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নেননি।
আশার কথা হল, মথুরমোহনের পাড়ার বাসিন্দা কয়েকজন কৃষিজীবী মানুষ জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি বর্তমান তৃণমূল জমানায় পাকা করার জন্য অনুমোদন পেয়েছে। তবে কবে সেই কাজ শুরু হবে সেটা নিয়ে রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা রয়েছে। না আঁচালে বিশ্বাস নেই। কবে শিবের মাথা থেকে বেলপাতা পড়বে, তা মথুরমোহনের পাড়ার অনেকেই স্পষ্টভাবে জানেন না।
তবে বিথারী হাকিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা জিয়াউর রহমান মোল্ল্যা বলেন, দীর্ঘ বাম জমানার অনুন্নয়নের অন্ধকার আমরা এক এক করে দূর করার চেষ্টা করছি। এইসব রাস্তার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে।
previous post