বহরমপুর: গতকাল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হলেন এক কংগ্রেস কর্মী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই কংগ্রেস কর্মীর নাম আরিফ শেখ। রবিবার প্রকাশ্য স্থানে এক তৃণমূল বিধায়কের সামনেই তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ওই গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী এদিন পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে গুলি করে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। গতকাল তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানায় বিক্ষোভে সামিল হন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। ঘেরাও করা হয় সামশেরগঞ্জ থানা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশের বিশাল বাহিনী।
এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠছে ঘটনাস্থলে থাকা তৃণমূল বিধায়কের দিকে। কগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, জেলা পরিষদের প্রার্থী আনারুল হক-কে লক্ষ্য করেই এই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অন্য এক কংগ্রেস কর্মীর গায়ে লাগে। কিন্তু তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা পাল্টা দাবি করে, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বলেন, অধীর চৌধুরী সারা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। সেজন্য এই গুলির ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ নির্বাচনী প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মুর্শিদাবাদ ৪ নম্বর জেলা পরিষদের আসনের কংগ্রেস প্রার্থী আনারুল হক। একই সময় সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামও উল্টোদিক থেকে গাড়িতে করে এলাকায় ফেরেন। অভিযোগ ওঠে, বিনা প্ররোচনায় কংগ্রেস প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন তৃণমূল বিধায়ক। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি। গুলিবিদ্ধ হন আরিফ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুলিয়ানের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় জঙ্গিপুর মহাকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
previous post