আব্দুল জলিল প্রধান
এলো রে এলো বাংলার আকাশে জলরাশি ভরা বর্ষার মৌসুম,
নদ নদীর রূপ যৌবন ফিরে পেয়ে উজ্জ্বল হাসিতে লীলাময়।।
বৈশাখ আর জৈষ্ঠ্য মাস জলরাশি মেঘের কুলে সুর তোলে বর্ষার জল,
মেঘের হাওয়ায় ঘূর্ণিপাকে বিন্দু বিন্দু ফোটার জলধারায় বর্ষার উদয়।।
বরফে জমা হিমালয় অঞ্চলের গরম দাবানলে জল পড়ে কল কল ধ্বনি,
পাহাড়ের বরফ গলিত জল নালায় নালায় নিম্নমুখী গতিতে ধলেশ্বরী।।
ছয় ঋতু রাজ্যে আষাঢ় শ্রাবণের মেঘের বর্ষাকালের বিচরণ ভূমি,
অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ে মাঠে-ঘাটে সাদা জলে ভরা বিচিত্রময়ী।।
বর্ষার পানি থই থই করে রূপোজ্জ্বলে অপরূপ সাজসজ্জা,
প্রকৃতি নীরব চোখে তাকিয়ে সাজনির ধরন দেখে পায় লজ্জা।।
নতুন পানিতে ভেসে নবরূপে সাজিয়ে বেড়ায় নানা প্রজাতির মাছ,
নীল আকাশে ঊড়ান্ত পাখিরা উঁকি-ঝুঁকি মেরে খুঁজে পায় মাছের আভাস।।
বর্ষার পানি বহুগুণে বৃদ্ধি পেলে
নেমে আসে নানা দুর্যোগ,
বন্যার পানিতে ভেসে যায় নানারকমের ফসলের স্তূপ।।
গ্রাম বাংলায় বন্যা কবলিত এলাকায় বেজে ওঠে দুঃখ কষ্টের করুণ বীণা
ঘর বাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে আনাহারে অর্ধাহারে চোখে পড়ে দৃশ্য।।
next post