সংবাদ কলকাতা, ২৫ মে: নিয়োগ নিয়ে ফের মুখ পুড়ল রাজ্যের। বন সহায়ক পদে ২০০০ জনের চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২০০০ বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের মুখে রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যখন একরাশ ক্ষোভ নিয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হন। মমতা স্বয়ং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তখন তাঁর জবাবে বলেন, সবই ওপর মহলের নির্দেশ মতো করা হয়েছে। এবিষয়ে তাঁর কাছে প্রতিটি ভয়েস মেসেজ রয়েছে বলে দাবি করেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। বলা হয়, তৃণমূল নেতা ও বিধায়কদের সুপারিশের ভিত্তিতে বন সহায়ক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করে, বনসহায়কদের দিয়ে বনরক্ষীদের দায়িত্ব পালন করাতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মাত্র দশ হাজার টাকা বেতনে বেকার যুবকদের অনেক ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিচ্ছেন তাঁরা।
এই বিষয়টি আদালতে ওঠে। গত ৩ মে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন সহায়ক পদে অনিয়মের অভিযোগে ২০০০ জনের চাকরি বাতিল ও ২ মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন। যদিও আদালতের নির্দেশে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বহিষ্কৃতরা।
একদিকে আদালতের নির্দেশ মেনে ১৯ মে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বন দফতর। অন্যদিকে নিযুক্ত বন সহায়করা সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান। তাঁদের দাবি ছিল, বাতিল হওয়া প্যানেলে থাকা বৈধ প্রার্থীদের ফের পরীক্ষায় বসা থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু সেই আবেদনকে আজ খারিজ করে দিল আদালত। ফলে ওই দুই হাজার বন সহায়ক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে রাজ্যের বন দপ্তরকে।
previous post
