মৈপীঠ: সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বাঘের ভয় নিয়েই দিন কাটে মানুষজনের। প্রতি মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা। মাঝে মধ্যেই গভীর জঙ্গল থেকে বাঘ বেরিয়ে আসে লোকালয়ের কাছাকাছি। বিশেষ করে এই শীতের মরশুমে লোকালয়ের কাছাকাছি বেশি বেরিয়ে আসে বাঘ। আর এই সময়টা আতঙ্ক যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে গ্রামবাসীদের। গতকাল সন্ধ্যায় মৈপীঠ কোস্টাল থানার অন্তর্গত পেটকুলচাঁদ এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এরপর স্থানীয় গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি খবর দেয় বনবিভাগকে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বনবিভাগের আধিকারিকরা। বাঘের পায়ের ছাপটি বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণের পর তারা নিশ্চিত হন যে এটি আর পাঁচটা বন্য প্রাণীর পায়ের ছাপ নয়। এটি আসলে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ। আর এরপর থেকেই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন সুন্দরবনের কুলতলি ব্লকের মৈপীঠ উপকূল থানার এই পেটকুলচাঁদ গ্রামের লোকেরা। ইতিমধ্যেই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন বন বিভাগের কর্মীরা। গ্রামে ঘুরছেন মৈপীঠ থানার পুলিশকর্মীরাও। জোরকদমে চলছে মাইকিং। গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। পুলিশের তরফে বার বার মাইকিং করা হয়। এদিকে বন দফতরের কর্মীরাও আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, পেটকুলচাঁদের জঙ্গল থেকে যাতে ওই বাঘকে আবার গভীর জঙ্গলের দিকে ফেরানো যায়। পেটকুলচাঁদের জঙ্গলের ধারে মোটা নেট বসানো হচ্ছে উঁচু করে। বাঘ যাতে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন বনকর্মীরা। এক বাসিন্দা তপতী বেরা বলেন, প্রায় সময় শীতের মৌসুমে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে এই এলাকায় ঢুকে পড়ে বাঘ। এর ফলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে থাকি। বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে বাস করি। বাঘের আতঙ্কে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকি । রাতভর বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা চালানো হয়েছিল। বাঘটি যতক্ষণ না জঙ্গলে না ফিরে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
previous post
next post
