সংবাদ কলকাতা: ফের শুরু হয়েছে চীন আগ্রাসন। মূল লক্ষ্য শিলিগুড়ি করিডোর কব্জা করা। তাদের ধারণা, এই চিকেন নেক করিডোর কব্জা করতে পারলেই ভারতকে বিপদে ফেলা যাবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। সম্প্রতি রয়টার্সের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক অভ্যন্তরীন পরিস্থিতিতে.. চিনে এবং তাদের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক স্বার্থে পিএলএ আরও সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ করে যাবে। আর সংঘাত ঘন ঘন হতে পারে, বা কোনও প্যাটার্ন মেনে তা নাও ঘটতে পারে।’
ইতিমধ্যে চীনের লাল ফৌজ সিকিম ও ভুটানের মাঝখানে চুম্বি উপত্যকায় নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে। পিছিয়ে নেই ভারতের সেনা বিভাগ। এবিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়া দেন লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কলিতা। তিনি ভারতীয় সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান তথা ইস্টার্ন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ। এক প্রশ্নের উত্তরে কলিতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। ভৌগোলিক কারণে শিলিগুড়ি করিডর আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের জন্য। এখানকার প্রায় ২০-২৫ কিলোমিটার অংশ ‘চিকেন নেক’। ইতিমধ্যেই সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য। সেজন্য এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়নও করা হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান রাণাপ্রতাপ কলিতা কলকাতা প্রেসক্লাবে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন। তিনি এবার ২৬ জানুয়ারি দেশের সাধারণতন্ত্র দিবসে ‘পরম বিশিষ্ট সেবা মেডেল’ (পিভিএসএম) সম্মান পেয়েছেন। সেজন্য প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁকে গুভেচ্ছা জানানো হয়। সেখানেই প্রশ্ন-উত্তর পর্বে ওই বক্তব্য রাখেন কলিতা। চুম্বি উপত্যকায় চীনের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়েই তিনি একথা বলেন। প্রসঙ্গত, চীনা আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য শিলিগুড়িতে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমনকি রাফালও নামানো হয়েছে বায়ুসেনার হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশনে। যদিও তিনি দাবি করেন, ‘এই মুহূর্তে পরিস্থিতি ‘স্টেবল’। কিন্তু, ‘আনপ্রেডিকটেবল’, অর্থাৎ, অনিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘চীনা সীমান্তের বিস্তীর্ণ অংশ কাঁটাতার নেই। সেখানে প্রকৃত সীমান্ত রেখা রয়েছে। তবে, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ভারতীয় সেনা প্রস্তুত রয়েছে’।
প্রসঙ্গত এর আগে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে গোগরা হটস্প্রিং এলাকার পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে ডিসএনগেজমেন্ট শুরু করে চিনের সেনা। এরপর ডিসেম্বর মাসে অরুণাচল প্রদেশে নতুন করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত দেখা যায়। সেবার চিনের সেনা ঢুকে পড়েছিল ভারতের অন্দরে। ঠিক যে আগ্রাসন লাদাখে দেখা যায় অরুণাচলেও সেই একই প্যাটার্ন ছিল । এরপর রয়টার্সের নয়া তথ্য অনুযায়ী দুই দেশের সম্পর্ক ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।