জাকার্তা, ১৬ জানুয়ারি: আজ ভোরে ইন্দোনেশিয়ায় সুমাত্রা দ্বীপে প্রবল ভূকম্পন। রিখটার স্কেলে এই ভুমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.১। জানা গিয়েছে, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। গোটা সুমাত্রা দ্বীপজুড়ে কম্পন হলেও উৎসস্থল ছিল সিংকিল শহরের দক্ষিণ-পূর্বে।
তবে মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ৩টে ৫৯ মিনিট নাগাদ ইন্দোনেশিয়ায় উত্তর সুমাত্রা দ্বীপে ভূমিকম্প হয়। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আকেহ প্রদেশের সিংকিল শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.০ ছিল বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরের আলো ফোটার আগেই আচমকা তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হতে শুরু করে। তবে এখনও অবধি কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর মেলেনি। উপকূল অঞ্চলে সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি। তবে ভূমিকম্পের মাত্রা অনেকটাই বেশি হওয়ায়, আফটার শকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া জাপানের মতোই ভূকম্পনপ্রবণ এলাকা। এই দেশের অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে রিং অব ফায়ারের ওপর অবস্থিত হওয়ায় ক্রমাগত টেকটনিক প্লেটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেকারণে ইন্দোনেশিয়ায় ক্রমাগত ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় লেগেই থাকে। ২০১৮ সালে এই দেশে ভূমিকম্পে ৪ হাজার ৩৪০ জনের মৃত্যু হয়। গত ২১ নভেন্বর জাভা দ্বীপে তীব্র ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫। সেই সময় এখানকার সিয়াঞ্জুর শহরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩১জন। গত ১০ জানুয়ারি এর চেয়েও তীব্র ভূমিকম্প হয় ইন্দোনেশিয়ায়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৭। ঠিক ৫ দিনের মাথায় ফের জোরালো কম্পন। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই দেশের নাগরিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
previous post
