ফলতা: ডিম ও মাংস এখন অতীত। পড়ুয়াদের পাতে এখন ইলিশ। পড়ুয়ারা যাতে সঠিক পুষ্টি পায়, তার জন্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল। এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে পড়ুয়াদের প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। পুষ্টিকর সেই খাবারের তালিকায় থাকে মাছ, ডিম, মাংস, সয়াবিন ইত্যাদি। তবে কোনও কোনও সময় কপাল খারাপ থাকার কারণে মিড ডে মিলের খাবারে পাওয়া যায় সাপ, ব্যাঙ, টিকটিকি, জোঁক ইত্যাদি। এসব নিয়ে পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের মধ্যে কম অভিযোগ নেই। কখনও কখনও আবার নিম্নমানের খাবারের অভিযোগ তুলতে দেখা যায় পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের।
তবে এসবকে অতীত করে এবার পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পাতে পড়ছে রূপোলি ফসল ইলিশ। মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশ দেওয়ার বিষয়টি অনেকের কাছেই অবিশ্বাস্য হলেও এমনই উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা অবৈতনিক প্রাইমারি স্কুলে। আর এই নিয়ে এখন রাজ্যজুড়ে চরম চর্চা। কেননা মিড ডে মিলের খাবার মানেই আমরা ভাত, ডাল, সবজি, সয়াবিন ইত্যাদি বুঝে থাকে। কখনও কখনও কপাল ভালো হলে পাওয়া যায় চিকেন।
এসবের মধ্যেই এখন ইলিশ পাতে পড়ায় খুশি পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। অভিভাবক ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমন অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে মূলত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দৌলতে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রতিদিন পড়ুয়াদের একইরকম খাবার দিতে পছন্দ করেন না। সেই কারণেই তিনি খাবারের মেনুতে হামেশাই পরিবর্তন আনেন। পড়ুয়াদের পাতে সুস্বাদু খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা চালান। এখন যেহেতু ইলিশের মরশুম, তাই ইলিশকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর জানান, প্রতিনিয়ত মিড ডে মিলের খাবারের পরিবর্তন করা হয় স্কুলে। খাবারের মেনুতে পরিবর্তন এনে কখনও ফ্রাইয়েড রাইস, চিলি চিকেন, কখনও আবার বিরিয়ানির মতো খাবারও হয়। আর এবার এককদম এগিয়ে পড়ুয়াদের পাতে ইলিশের ব্যবস্থা হল। তবে যেদিন এমন আয়োজন করা হয়, সেদিন আয়োজনে দু’রকম ব্যবস্থা থাকে। স্কুলের একেবারে ক্ষুদে পড়ুয়াদের বাগদা চিংড়ি, আর বড়দের জন্য ইলিশ। ইলিশ মাছে বেশি কাঁটা থাকে। আর সেই কাঁটা যাতে খুদে পড়ুয়াদের গলায় আটকে না যায়, তার জন্য তাদের চিংড়ি দেওয়া হয়।