November 2, 2025
কলকাতা

পিতৃপক্ষে দুর্গা পূজার উদ্বোধন মমতার, আক্রমণ শুভেন্দুর

সংবাদ কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর: মহালয়ার এখনও তিন দিন বাকি। তার আগেই অর্থাৎ পিতৃপক্ষেই পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সমালোচনা করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘বাংলার লজ্জা! পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে দিলেন মাননীয়া। পিতৃপক্ষে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। প্রেত দোষ মুক্ত করার জন্য উত্তরপুরুষ ব্রতী হন। এখন কোনও শুভ কাজ হয় না। দেবীপক্ষে নবরাত্রি শুরু হলে মায়ের আরাধনা হয়। বাঙালির সবটাই একা শেষ করে দেওয়ার সংকল্প নিয়েছেন।’ অন্যদিকে বিধাননগরের এক কংগ্রেস নেতা বলেন, শাসকদলের নেতাদের একের পর এক দুর্নীতি ধরা পড়ছে। সেই দুর্নীতি থেকে মানুষের নজর ঘোরাতেই এত তাড়াতাড়ি পুজোর উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও যেহেতু পিতৃপক্ষ চলছে, সেজন্য এদিন মমতা প্যান্ডেলের উদ্বোধন করলেও প্রতিমার উদ্বোধন করেননি বলে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব সহ বিধাননগর এফডি ব্লক ও টালা প্রত্যয়ের পুজো উদ্বোধন করেন। এদিন শ্রীভূমির পুজোর উদ্বোধন করতে এসে এলাকার বিধায়ক ও দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে শ্রীভূমির পুজোর কারণে যাতে যানজট না হয়, সেই সাবধান বাণী শোনান। মমতা বলেন, ‘‘সুজিতবাবুকে একটা অনুরোধ করছি, রাস্তা  যেন বন্ধ না হয়। লোকে প্লেন ধরতে পারল না, ট্রেন ধরতে পারল না তেমনটা যেন না হয়। তুমি যখন একজন মন্ত্রী, তোমাকে সাধারণ মানুষের হয়ে উঠতে হবে।আমি কিন্তু পুজোয় ছুটি কাটাই না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে নজর রাখি। রাস্তায় যখন মানুষ থাকেন আমি পাহারাদার হিসাবে পাহারা দিই। কোথায় কী হচ্ছে সব খবর রাখি।’
এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিধাননগরের কমিশনারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি গৌরব শর্মাকে  বলছি। নতুন এসেছে। তুমি কিন্তু খেয়াল রাখবে। যদি রাস্তা বন্ধ হয় তবে আমায় ফোন করবে। আমি তখন বিশ্ববাংলা থেকে ঘচাং ফু করে দেব।’ তার মানে কী? শারদ সম্মান থেকে বাদ দিয়ে দেবেন শ্রীভূমিকে? রাজ্যের বিরোধীদের ধারণা, এসব কিছুই হবে না। সবই লোক দেখানো।
উল্লেখ্য, গত বছর ‘বুর্জ খলিফা’ করেছিল শ্রীভূমি। সেটা দেখতে প্রচুর দর্শনার্থীর ভিড় হয়। ভিআইপি রোডে ব্যাপক যানজট হয়। অনেকে প্লেন ধরতে পারেনি। যানজটের জেরে সময়ে পৌঁছতে না পেরে অনেকে মিস করে দূর পাল্লার ট্রেন। অনেকে রাতে শেষ লোকাল ট্রেনও ধরতে পারেনি। এদিকে  শ্রীভূমি কর্তৃপক্ষ ভিড় সামাল দিতে না পেরে মণ্ডপে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ যায় মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে। তার জেরেই বিধায়ক সুজিত বসুকে সাবধান করে দিলেন মমতা। যদিও বিজেপির, এসব কিছুই হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর ওগুলো লোকদেখানো। আগের মতোই সেই যানজট হবে। ট্রেন, প্লেন দুটোই মিস করবে। মুমূর্ষু রোগীর এম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হওয়ারও ঝুঁকি থাকবে।

Related posts

Leave a Comment