কলকাতার আহিরিটোলা ঘাটে সুটকেস বন্দী মৃতদেহ ফেলে দেওয়ার সময় আটক দুই মহিলা। অভিযোগ, তিন টুকরো করে এক মহিলার মৃতদেহ সুটকেসে এনে ঘাটে ফেলতে যায় দুজন। সেই সময় স্থানীয়রা সেটি দেখতে পেয়ে দুই মহিলাকে আটক করে। তাদেরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। পুলিশ সন্দেহজনক দুই মহিলাকে আটক করেছে।
মৃতের নাম সুমিতা ঘোষ (আনুমানিক 55 বছর বয়স)
যোরহাট, আসামের আদি বাসিন্দা। তার স্বামী বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা। সুমিতা ঘোষ ফাল্গুনী ঘোষের শ্বশুরের বোন হয়।অভিযুক্ত ও সহ-অভিযুক্ত আরতি ঘোষ (অভিযুক্তের মা) থাকতেন মধ্যমগ্রামে যেখানে সুমিতা ঘোষ 11 ফেব্রুয়ারি এসেছিলেন।
স্বামীর সঙ্গে ফাল্গুনীর সম্পর্ক ভালো না থাকায় আলাদা থাকতেন তারা। শশুর বাড়িতে থাকতো না ফাল্গুনী। গতকাল বিকেল ৪টার দিকে এ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। একই সময় ফাল্গুনী মৃতকে দেয়ালে ধাক্কা দিলে সে অজ্ঞান হয়ে যায় এবং তারপর যখন তার জ্ঞান আসে তখন সে আরো জোরালো বিবাদ বাঁধে হয়ে ওঠে এবং ফাল্গুনী তাকে মুখে ঘাড়ে ইট দিয়ে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
তারপর তারা তার লাশ একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে কুমারটুলি ঘাটে একটি ট্যাক্সি ব্যবহার করে নিষ্পত্তির জন্য নিয়ে আসে।
এনপিপিএস-এ ইউডি মামলা শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
বারাসত জেলা পুলিশকে আপডেট করা হয়েছে এবং তারা আরও আইনি পদক্ষেপের জন্য একটি দল পাঠাচ্ছে।
previous post