নিজস্ব সংবাদদাতা, কুলতলি: পনের টাকা সময় মতো না দিতে পারায় তা নিয়ে অশান্তির জেরে স্ত্রীর গায়ে অ্যাসিড জাতীয় কোনও তরল পদার্থ ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলির দুর্গাপুরে। আক্রান্ত ওই মহিলা কুলতলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কুলতলি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছ-বছর আগে চাঁদপুরের যুবতী সাজিদা হালদারকে বিয়ে করেছিল দুর্গাপুরের বাসিন্দা আহসান মোল্লা। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পনের টাকার জন্য নানাভাবে স্ত্রীয়ের উপর অত্যাচার চালায় আহসান। বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য বার বার চাপ দিত। টাকা না নিয়ে আসতে পারলে, তাঁকে বেধড়ক মারধরও করা হত বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, মারধরের পাশাপাশি বাড়ির মধ্যে নিজের স্ত্রীকে আটকে রাখত অভিযুক্ত স্বামী।
সাজিদার পরিবারের অভিযোগ, কেবল আহসানই নয়, তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও অত্যাচার করত। এসবের মধ্যেই আহসান আরও একটি বিয়ে করে। ঘরে দ্বিতীয় স্ত্রী আসার পর সাজিদাকে রীতিমতো এক ঘরে করে রাখার অভিযোগ ওঠে। আহসান ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আসিদাও সাজিদাকে মারধর করত বলে অভিযোগ। রবিবার অশান্তি চরমে ওঠে। ওই বাড়ি থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পান প্রতিবেশীরাও। তাঁরা গিয়ে দেখেন, সাজিদার সারা শরীর জ্বলে গিয়েছে। জ্বালায় ছটফট করছে। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। আক্রান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে কুলতলি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। যদিও অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ।