দীননাথ চক্রবর্তী
আমার ঘরটা ভীষণ রকম ক্রংক্রীট
ডুঙ্গি মার্বেল বৈভব
সবুজের জন্য নেই মাটি
একফালি জমি
তবু বড় ইচ্ছে
গোলাপ বপন।
কবে যেন উবে গেছে দিন
এমনটা মাঝে মাঝে যে ঘটেনি তা না
ফিরেও এসেছে আবার
ঘর সবুজ হয়েছে আলোর পাপড়িতে ।
এবার অনেকদিন হ’য়ে গেছে
দিন ফেরেনি
আমার ঘরে এখন রাত
আর সেই রাত
ঘণ কালো নধর রাত
পুঁইলতার মতো
মনের হৃদয়ের শিরদাঁড়া পাকিয়ে পাকিয়ে
বেড়েছে বিস্তর নধর
বাতাসে ঢেউ খেলে যায় পাতায় পাতায়।
আমি তখন আঁধার চিতার লেলিহান আগুনে
একটু একটু ক’রে ডুবে যাচ্ছি
চিৎকার ক’রছি যন্ত্রণায়
কেউ শুনতে পায়না
মানুষ যেমন বীভৎস স্বপ্নে করে।
ঠিক তখনই
পায়ের নূপুরধ্বনি
রাত নিশি
তুমি এলে
আমার অন্ধকার চরাচরে
হাতে ফুলের চারা
নিশিগোলাপ
আমার মনের জমি খুঁড়ে খুঁড়ে
তোমার যত সোহাগ আদর আর
ভালোবাসার মাধুরী ঢেলে ঢেলে
করলে বপন
কী আশ্চর্য
রাতারাতি গাছ বেড়ে সতেজ
কুঁড়ি বিকশিত হ’লো ভ্রমর গুঞ্জনে
গন্ধ ছড়িয়ে মেলে দেয় পাপড়ি
হৃদয় বলল
নিশিগোলাপ।