সংবাদ কলকাতা: সম্প্রতি চিকিৎসার দোহায় দিয়ে সপরিবারে বিদেশ পাড়ি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরকমই এক মুহূর্তে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির রিপোর্টে তাঁর নাম উঠে এল। অথচ আদালতের নির্দেশে বিদেশ যাত্রায় ছাড়পত্র দেওয়া হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই ঘটনার পর ইডির নিরপেক্ষতা নিয়ে আমজনতার মনে তৈরি হয়েছে একাধিক সংশয়। কারণ সম্প্রতি অভিষেকের বিদেশ যাত্রায় আপত্তি জানায় ইডি। কিন্তু অভিষেক পাল্টা বিদেশ যাত্রায় ছাড়পত্র চেয়ে আদালতে আবেদন জানান। সেই মামলার শুনানিতে দেখা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। ফলে আদালতের নির্দেশ মতো সপরিবারে বিদেশ যাত্রায় ছাড়পত্র পেয়ে যান অভিষেক।
অভিষেক আদালতকে জানিয়েছেন, চিকিৎসার কারণে ২৬ শে জুলাই থেকে ২০ আগষ্ট পর্যন্ত বিদেশে থাকবেন। এমনকি আগামী ৮ জুলাই আমেরিকায় একটি চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর অ্যাপয়েন্টমেন্টও রয়েছে। সেখানে চোখের পরীক্ষা ও অপারেশনের পরে দেশে ফিরবেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু আমজনতার মনে প্রশ্ন উঠছে, যার বিরুদ্ধে হাজার হাজার চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে কেন বিনা বাধায় বিদেশ যেতে দিল ইডি। তাঁর বিরুদ্ধে যে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তা গত ১৭ জুন ইডির কলকাতা দপ্তর দিল্লির প্রধান কার্যালয়কে জানিয়েছিল। সবার মনে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বিদেশ যাত্রার আগে সেই তথ্য কেন আদালতকে জানায়নি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? তদন্তে জানা গিয়েছে, তাপস কুমার মন্ডল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জেরা করে দুর্নীতি কান্ডে অভিষেকের নাম উঠে এসেছে। অথচ সেই অভিষেক এখন সপরিবারে দুবাইয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন। তাঁরা যদি দেশে নাও ফেরেন, ভারতের আইন, আদালত ও প্রশাসনের দ্রুত কিছুই করার নেই।
প্রসঙ্গত কুন্তল ঘোষ মামলার তদন্তে তাপস কুমার মন্ডলকে জেরা করে জানা গিয়েছে, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালী ঘাটের কাকু, যিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থনৈতিক বিষয় দেখতেন। তিনি নিয়োগ কাণ্ডে মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে অভিষেকের যোগসূত্র রক্ষা করতেন। এমনকি নিয়োগের টাকা পয়সা লেনদেনেও বড় ভূমিকা ছিল কালীঘাটের কাকুর।
previous post