সংবাদ কলকাতা, ১৩ সেপ্টেম্বর: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে শহরজুড়ে ধুন্ধুমার কান্ড। একদিকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মিছিল, আর একদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিল। অন্যদিকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিল। ত্রিফলা আক্রমণে মানুষে পুলিশে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় শহর জুড়ে। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিলে আসা অগণিত মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।
পুলিশ ব্যারিকেড করে বন্ধ করে দেয় শহর সংলগ্ন বড় বড় রাস্তা ও জাতীয় সড়কগুলি। মিছিল থামাতে শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা ও লকেট চট্টোপাধ্যায়দের পুলিশ আটক করতেই বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লালবাজার চত্বর। মহাত্মাগান্ধী রোডে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের জিপ। এদিকে বার বার উত্তেজনা ছড়ায় সাঁতরাগাছি এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে জলকামান ও টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কোথাও কোথাও লাঠিচার্জও করে পুলিশ।
কলেজ স্ট্রিটেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিজেপির রাজ্য দপ্তর মুরলিধর সেন লেনে ছুটে যায় একটি বিশাল পুলিশ বাহিনী। ওদিকে দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে হাওড়া ব্রিজের কাছে মিছিল আসতেই ব্যারিকেড করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নবান্ন অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। কিন্তু, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও অগ্নিমিত্রা পল হাওড়া ময়দানে সদলবলে ধর্নায় বসে যান। তাঁকে বার বার অনুরোধ করেও সেই অবস্থান বিক্ষোভ থেকে হঠাতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে তাঁদের আটক করা হয়।