নদিয়া: প্রাক্তন সিপিআইএম-এর শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মৃণাল ঘোষের উপর আক্রমণ ও সিপিএম কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বুইচা ঘোষপাড়া জগদ্ধাত্রী পূজা মন্ডপের সামনে। মৃণাল বাবুর অভিযোগ, গতকাল বুইচা ঘোষপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁর ছেলে আসার অপেক্ষায়। ছেলে পেশায় আইনজীবী। সে বাইক নিয়ে এসে দাঁড়াতেই আচমকা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারধর করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপরেই ওই এলাকায় আরেক সিপিআইএম কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ মৃণালবাবুকে উদ্ধার করে ফুলিয়া block প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। মৃণাল বাবুর শরীরে পাঁচটি সেলাই পড়ে বলে জানান।
অপরদিকে ওই CPIM কর্মীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে যেন আমরা ভোটে দাঁড়াতে না পারি, সেই কারণে ভয় দেখানোর জন্যই আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন সরকার বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে”। এই ঘটনা নিন্দনীয়! যেহেতু পূজা মন্ডপের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে, সেহেতু পুজো কমিটি রয়েছে এবং প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানান তপনবাবু। তবে এই ঘটনায় যদি তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকে, তাকেও ছাড়া হবে না বলে জানান তিনি।