প্রিয়াশ্রী খাঙ্গার ও সংকল্প দে, নদীয়া: নদীয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। এই সমস্ত এলাকায় ক্রমাগত চলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ ( BSF) এর কড়া নজরদারি। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও নজরদারি ও তৎপরতা যথেষ্ট ভালো।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদীয়া জেলার পুলিশ প্রশাসনকে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রের রমরমা সহ দুষ্কৃতীমূলক কাজ কর্মের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নজরদারিও জোরদার করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। সম্প্রতি জেলা সফরে এসে প্রশাসনিক ও দলীয় সভা থেকে একথা বলেন তিনি।
যদিও এ নিয়ে বিরোধীরাও সুর চড়িয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এমতাবস্থায় নদীয়া জেলা পুলিশের ভীমপুর থানার তৎপরতায় এদিন এলো এক বড় সাফল্য। পাচারের আগেই বিপুল পরিমাণ সোনা সহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা মাঝদিয়া স্টেশন থেকে পাকড়াও করা হয় ওই পাচারকারীদের।
কৃষ্ণনগর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভীমপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় ওই স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছ থেকে আড়াই কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা। ধৃত ওই ২ যুবকের নাম বরুণ হালদার ও প্রদীপ হালদার। তাদের বাড়ি নদীয়ার ভীমপুর থানার শিমুলিয়া এলাকায়। মূলত তারা বাংলাদেশ থেকে চোরাই পথে ভারতে পাচার করছিল এই সোনা। সেগুলি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হতো বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার ধৃতদের কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হয়। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই বিস্তর অভিযোগের মধ্যেও নদীয়া জেলার পুলিশ প্রশাসনের এহেন সাফল্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
previous post
