নিজস্ব সংবাদদাতা, নদিয়া— মনোজ গুপ্তকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে নদিয়ার আলাইপুরের জমাদারপাড়া ধীরেন ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। রাত আড়াইটে নাগাদ ধীরেন ঘোষকে গ্রেফতার করে কলকাতা নিয়ে আসেন গোয়েন্দারা।
ধৃত ব্যক্তি নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় জাল পাসপোর্ট তৈরির চক্র চালাতেন বলে অভিযোগ। পাসপোর্টকাণ্ডের মূল পাণ্ডা মনোজ গুপ্তকে জেরা করে তাঁর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নদিয়ার চাকদা থানার অন্তর্গত আলাইপুরের জমাদারপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন ধীরেন ঘোষ। ভাড়া বাড়ির পরিবারের এক সদস্য মৃণালকান্তি পাল বলেন, যে বাড়িতে ধীরেন ঘোষ ভাড়া থাকতেন সেটি আমার কাকার বাড়ি। ৫-৬ বছর ধরে এখানে ভাড়া থাকতেন। স্বভাব-চরিত্র ভালোই ছিল। আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরে তালা ঝুলানো। আমি জানি না পুলিশ ওনাকে ধরে নিয়ে গিয়েছে।
ভাড়া বাড়ির আর এক সদস্য সঞ্জয় পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এখানে ভাড়া থাকতেন। কোনো ঝামেলা ছিল না। ধীরেন ঘোষ বলেছিলেন উনি গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। প্রায়ই কলকাতা যেতেন কাজের জন্য। কখনও বাড়ি ফিরতেন কখনও বাড়ি ফিরতেন না। ভাড়া বাড়িতে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কোনো কাজ কখনও করতে দেখিনি।
তিনি আরো বলেন, মাঝেমাঝে বাংলাদেশ থেকে ওনার শ্বশুর,শাশুড়ি এসে থাকতেন এখানে। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন আত্মীয় স্বজন আসতেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আর কাউকে আসতে দেখিনি।
ধৃত ধীরেন ঘোষের জামাইবাবু তপন ঘোষ বলেন, জানতাম না পুলিশ ধীরেনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। কি কাজ করত তাও জানতাম না। ধীরেনের আদি বাড়ি বাংলাদেশ। এখানে পাল বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এর থেকে বেশী কিছু জানি না।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের যাবতীয় ভারতীয় নথি টাকার বিনিময়ে বানিয়ে দিত অভিযুক্তরা। ৩-৫ লক্ষ টাকায় বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট তৈরি করে দিত তারা। এমনটাই অভিযোগ।