সংবাদ কলকাতা, ১৪ সেপ্টেম্বর: অভিষেকের মাথায় গুলি করার মন্তব্যে প্রসঙ্গে তীব্র প্রতীক্রিয়া দিলেন সুকান্ত মুজমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, নতুন তৃণমূল ক্ষমতায় এলে প্রতিবাদী মানুষের মাথায় গুলি করবে। এটাই হল অভিষেকের তৃণমূল। তিনি বলেন, তাঁর এই নতুন তৃণমূলের পুলিশ অংকুরহাটির হিংসার ঘটনার সময় কোথায় ছিল? তবে পুলিশের উপর হামলার প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবুর দাবি, মিছিলে তৃণমূলের লোক ঢুকে গিয়েছিল। তাঁরা বিজেপিকে বদনাম করতেই পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত হন পুলিশের এসিপি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সংঘর্ষে তাঁর হাত ভেঙে যায়। বুধবার তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে যান তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সামনে নবান্ন অভিযান নিয়ে একাধিক অভিযোগ করেন। বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, “আন্দোলনের নামে গুন্ডামি, ভণ্ডামি, দাদাগিরি এবং গায়ের জোরে দুর্বৃত্তদের, দুষ্কর্মকারীদের কাজে লাগিয়ে পুলিশকে মারধর করা হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে ধরানো হয়েছে আগুন। নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে।” তিনি এসিপির হাত ভাঙার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, ‘আমার সামনে ঘটনা কপালে আঙুল ঠেকিয়ে মাথায় শ্যুট করতাম’।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এটাই নব্য তৃণমূল। বাংলার তথাকথিত যুবরাজের নেতৃত্বে নতুন তৃণমূল ক্ষমতায় এলে পুলিশ মানুশের মাথায় গুলি করবে। এই প্রসঙ্গের উদাহরণ টেনে সুকান্তবাবু বলেন, গত ৯ জুন, ২০২২-এ যখন অংকুরহাটিতে হিংসার ঘটনা ঘটে তখন পুলিশ কোথায় ছিল? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোথায় ছিলেন?
উল্লেখ্য, পার্থ ও অনুব্রত কাণ্ডের পর কালীঘাট সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের নতুন ব্যানার টাঙানো হয়েছে। সেখানে উল্লেখ বলা হয়েছে, নতুন তৃণমূলের কথা। সেটা নিয়েই ট্রোল শুরু করেছে বিজেপি সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে কি পুরোনো তৃণমূল ভেঙে যাচ্ছে? ঠিক সেই প্রসঙ্গ টেনেই প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নতুন তৃণমূলের কথা তোলেন।
previous post