নিজস্ব সংবাদদাতা, সংবাদ কলকাতা: পরপর তিনখানা সাইক্লোন পশ্চিমবাংলায় ঢোকেনি। বাংলাদেশে বা মায়ানমারে গেছে। Rainman বুক ফুলিয়ে বলেছেন, তাঁর ২০২১ শে আসাম প্রোগ্রামের পর থেকে সমস্ত সাইক্লোন বাংলাদেশ হয়ে আসামের দিকে যাবে। কারণ, মা কামাখ্যার অভিশাপ পড়েছে হিমন্তের ওপর।
আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে স্বাধীনতার বলি হিন্দুদের বন্দী করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বহুদিন ধরে রেইনম্যান গলা ফাটিয়েছেন, মেসেজ পাঠিয়েছেন। এমনকি আসামকে বন্যায় ভাসিয়ে দেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।
কাকতালীয় হোক বা অন্য কোনও কারণই হোক, পরপর দু’বছর আসাম বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তার ওপর সমস্ত সাইক্লোন যেমন- শিত্রাঙ্গ, মিধিল, মোকা সবকটাই কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে ছিল আবারও কাকতালীয় কিনা বোঝা যায়নি। কিন্তু একথা সর্বৈব সর্বজন বিদিত যে, ২০২১-এর প্রোগ্রামের পর থেকে একটাও সাইক্লোন বাংলায় প্রবেশ করেনি।
তবে সাইক্লোন রিমল কেন এই রেকর্ডটা ভাঙলো?
সংবাদ কলকাতার তরফ থেকে Rainnman-কে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল —-তাহলে কি শিলচরে যে বাঁশি বাজানো হয়েছিল, তার প্রভাব কি শেষ হয়ে গেল? কেন আবার তিন বছর পরে বাংলায় সাইক্লোন ঢুকলো?
মজার ব্যাপার হল, যেমন করে সমস্ত কাকতালীয় ঘটনার অকাট্য ব্যাখ্যা করে নিজের কৃতিত্ব জাহির করে এসেছেন এবং প্রায় অনেকের কাছেই উনি সফল হয়ে এসেছেন। ঠিক তেমনি করেই উনার এই ব্যাখ্যা —
গত পুরো এপ্রিল কলকাতা ছিঁটে ফোটা বৃষ্টি পায়নি। তীব্র দাবদাহে কলকাতা জ্বলছিল। একটা রাত কলকাতায় বাঁশি বাজিয়েছিলেন বটে। কিন্তু মেঘ কোথায়? তার উপর কোনও এক মহিলার বাঁশিতে বুক ফেটে যাচ্ছে বলে কাতর আবেদন – বন্ধ করুন! বন্ধ করুন! বুক ফেটে যায়!!!!
এবার মেঘ আনতে চলে গেলেন সমুদ্র সৈকতে। পুরীর সমুদ্র সৈকতের কর্তব্যরত পুলিশ শ্রীমান মানস চক্রের সহযোগিতায় মাইক সহযোগে বাজিয়েছিলেন মাত্র 3 /4 ঘন্টা। পরদিনই সমস্ত উড়িষ্যায় বৃষ্টি হল। শহর কলকাতার হাওয়া বাবুরা বললেন, ইঙ্গিত হয়েছে বৃষ্টি হবে। হলও তাই। কলকাতা তীব্র দহন জ্বালা থেকে মুক্ত হল।
কিন্তু সমস্ত সুখের জন্য একটা মূল্য দিতে হয়। সাইক্লোন Remal হল তারই দীর্ঘমেয়াদী মূল্য। যাকে বলে ওষুধের সাইড এফেক্ট। তাই এখন রেইনম্যান ঘরে বসে কখন জল ঢোকে তারই প্রতীক্ষায়।
এখনও হাওয়া দপ্তর বর্ষার শুরুর ইঙ্গিতই দেয় নি। তাতেই শুরু হয়েছে রিমেল গোলমাল। সাময়িক সুখের জন্য সামগ্রিক ক্ষতির মুখে বাংলা। তাই প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য rainman চললেন আবার সেই আসামের ভুবন পাহাড়। যেখানে নাকি সাক্ষাৎ মহাদেব পদধূলি দিয়েছেন। এবার দেখার বিষয়। rainman আসাম এবং বাংলাদেশি হিন্দু বিরোধী তত্ত্বদের শায়েস্তা করতে পারেন কিনা।
next post