বারাসাত, ১৭-ই ডিসেম্বর: শীতের পোশাক বিতরণ করার মাধ্যম দিয়ে ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’-এর শুভ সূচনা হল। আজ বারাসাতের কাছাকাছি হৃদয়পুর ‘প্রণব কন্যা সংঘ’-এর ১৮ জন শিক্ষার্থীর হাতে শীতের পোশাক তুলে দেওয়া হয়। এই কাজে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্যা দিতি ভট্টাচার্য ও মিতালী মুখার্জি।
এদিন সকালে তারা প্রণব কন্যা সংঘ-এ আসেন। তারপর এখানকার মেয়েদের সাথে কথাবার্তা বলেন। শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্ন ও ইচ্ছে গুলোও আদানপ্রদান করেন মাতৃ মিলন মন্দির -এর সদস্যাদের সাথে। তারপর তাদের হাতে শীতের পোশাক তুলে দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।
মেয়েদের জন্য কাজ করার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই করছেন ‘দেশের মাটি’র-সদস্যারা। সমাজে মেয়েদের স্বাবলম্বী করা ও তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন করা দরকার বলে তারা মনে করেছেন। এই ভাবনার সাথে যুক্ত হয়েছেন পারুল খামারিয়া, দিতি ভট্টাচার্য, মিতালী মুখার্জি, ড.অলি ব্যানার্জি, নিবেদিতা মন্ডল, রাজশ্রী দাস, রিম্পা রায়, সুনন্দা হালদার, জেসমিন দাস(মন্ডল) ও আরও অনেকে। এদের ভাবনা দ্বারাই পরিচালিত হচ্ছে ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’। মেয়েদের নিয়ে তৈরি এই সংগঠন মেয়েদের অর্থনৈতিক, সামজিক, শারীরিক – সব দিক দিয়েই স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে চাইছে।
এই পোশাক বিতরণ নিয়ে দিতি ভট্টাচার্য বলেন -” আজ আমরা ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’-এর পক্ষ থেকে এই শিক্ষার্থীদের হাতে পোশাক শীতের পোশাক তুলে দিতে পারছি দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। মেয়েদের সার্বিক উন্নতি করার জন্য আমরা চেষ্টা করব। দেশের মেয়েরা শক্তিশালী হলে তবেই আমাদের দেশ শক্তিশালী ও উন্নত রাষ্ট্র হবে।”
সংগঠনের আর এক সদস্যা মিতালী মুখার্জি বলেন -“আমরা ‘দেশের মাটি’র পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরেই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করছি। তবে এই প্রথম শুধুমাত্র মেয়েদের দ্বারা পরিচালিত ও মেয়েদের জন্যই কাজ শুরু করলাম। এই পোশাক বিতরণের মাধ্যম দিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হল। ভবিষ্যতে আমরা মেয়েদের জন্য অনেক কাজের পরিকল্পনা করেছি। সেই কাজে সমাজের সবাইকেই পাশে চাই।”
প্রণব কন্যা সংঘ-এর অধ্যক্ষা সন্ন্যাসীনি জ্ঞানানন্দময়ী মাতাজী বলেন, “দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’ মেয়েদের জন্য কাজ শুরু করেছে দেখে ভালো লাগছে। এমন আরও অনেক মানুষকে এগিয়ে আসা দরকার। আমরা একে অন্যের পাশে থাকলে সমাজ সুন্দর হবে। একটা সুন্দর মনের মেয়ে একটা ভালো পরিবার ও সমাজ গঠন করতে পারে। একটা সুন্দর সমাজ একটা ভালো রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে।”
আজকের এই পোশাক বিতরণ কাজের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মিলন খামারিয়া।
previous post
next post