আর কত নাটক দেখবে বাংলার যুবক যুবতীরা? আম্বানীরা একটা সরকারের ডাকা সন্মেলনে উপস্থিত হবে ও কিছু অনুকূল কথা বলবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। কারন ওনারা রাজনীতি করেন না, ব্যবসা করেন। কিন্তু যারা এই দেখনধারী শিল্প সন্মেলন করে কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেবল প্রচার সর্বস্ব রাজনীতি করার জন্য হৈচৈ করে, তখন সেটা এই রাজ্যের যুবক যুবতীদের ঠকানো ছাড়া আর কিছুই নয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০১১র পর থেকে বহুবার এই শিল্প সন্মেলন ও সেখান থেকে বিরাট অঙ্কের টাকার প্রস্তাব এসেছে বলে ঘোষণা করা হলেও সেই প্রস্তাব কতটা কার্যকরী হয়েছে তা জানতে চায় বাংলা। কারন আজ শুধু মেধা নয়, বাংলার শ্রমিক রাজমিস্ত্রি, চাষের কাজ ইত্যাদির জন্যও এই রাজ্যে কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে পারি দিতে বাধ্য হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে।আসলে একজন শিল্পপতি তখনই বিনিয়োগ করেন, যখন সে শিল্পের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, আইন শৃঙ্খলার অনুকূল অবস্থা ও শিল্পের জন্য কিছু সুবিধা লাভ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের যে, এর কোনটাই এই রাজ্যে নেই। আসলে বাংলার ভগ্নদশা কেবল সরকারের নয়, রাজনীতির মঞ্চে এখন শুধুই অশিক্ষিত, অসভ্য ও লুম্পেনদেরই দাপাদাপি। তাই দুর্নীতি, খুনখারাপি, এবং রাজনৈতিক অবক্ষয় এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
আর তাই এই রাজ্যে রাজনীতিবিদ সেলিম নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে যেভাবে ছড়া কাটলেন বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারতের হারকে ও সেখানে নরেন্দ্র মোদির উপস্থিত থাকা নিয়ে, বা রাহুল গান্ধীর মোদীকে অপয়া বলার মধ্যে যে ঘৃণ্য রাজনীতি উঠে আসছে, তাতে এই মূহুর্তে সুস্থ রাজনীতির টিকে থাকা সত্যিই খুব মুশকিল।তবে হাল ছাড়লে চলবে না, অপদার্থ লোক নিয়ে বিরোধী দল সুসজ্জিত হলেও এবং মানুষ তৈরির কারখানায় কেবল ভোগী মানুষ তৈরি করে আর যাইহোক এই অবক্ষয়ের মোকাবিলা করা যায় না,এটা মেনে নিয়েও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।আর তাছাড়া বর্তমানে এই রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে জেহাদীরা তাদের নিরব, গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ও সুযোগ পেলেই তারা পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেটা ভুলে গেলে চলবে না।