শঙ্কর মণ্ডল: অবশেষে রাজ্যপাল আবার আগের রাজ্যপালের ন্যায় বিজেপির এজেন্ট হিসাবে অভিযুক্ত হলেন রাজ্যের শাসক দলের কাছ থেকে।আসলে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে দিয়ে মাননীয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করাতেই চায় শাসক তৃণমূল। যেহেতু এতদিন হাতেখড়ি থেকে শুরু করে ডিলিট উপাধি পাওয়ার মঞ্চে যেভাবে মহান নেতাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করে রাজ্যপাল যে বক্তব্য রাখেন, তাতে ওদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। কিন্তু নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলা নিয়ে যেই মুহূর্তে রাজ্যপাল তাঁর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে বক্তব্য রাখেন। সঙ্গে সঙ্গেই অসভ্য, বর্বর তৃণমূল তাদের নখ দাঁত বের করে ফেলে।
মানিক ভট্টাচার্যের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যে নির্দেশ আদালত দিয়েছে, তা একপ্রকার আশাব্যঞ্জক। যদিও আজ একটার পর একটা দুর্নীতি নিয়ে জেরবার তৃণমূলের আসল চোর দেখতে মরিয়া, রাজ্যের আমজনতা। অথচ কখনও হৈমন্তী, কখনো নকল দলপতি নিয়ে মানুষের ফোকাস ঘোরানোর চেষ্টাই এখন সবচেয়ে বড় অভিযোগ মানুষের। কারণ মানুষ এখন নকল দলপতি নয়, আসল দলপতি চায়। মানুষের সমর্থন কোনওভাবেই তৃণমূলের পক্ষে নেই। তাই সাগরদিঘির উপনির্বাচনে পেশি শক্তির ব্যবহার করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের ভোট ভাগাভাগিও তৃণমূলের আর একটি ভরসার কারণ।
যাইহোক, এসবের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে নিজেদের এলাকার মানুষের জমি ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে যেন। কারণ মানুষের ফোকাস যখনই অন্যদিকে থাকে, ঠিক তখনই জেহাদীরা জমি দখল ও নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে। আর সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর আগে বাদুড়িয়া, ধুলাগড়, তেলিনিপাড়া, বেথুয়া ইত্যাদি সহ সর্বশেষ কলকাতার মোমিনপুর অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। মতামত ব্যক্তিগত।
next post