দুর্গাপুর, ১ আগস্ট: সোমবার দুর্গাপুরের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন হলো। কোভিড তথা মহামারীর পর গত দুই বছরে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। বর্তমানে দিল্লি ও মুম্বাই থেকে দুটি ফ্লাইট এবং চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু থেকে প্রতিদিন ছয়টি ফ্লাইট সংযোগ করবে এইবিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালকে। এই মুহূর্তে ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট বিমান সংস্থার দ্বারা পরিচালিত হবে এই নতুন টার্মিনালটি। এই কার্গো টার্মিনালটি ক্রমবর্ধমান লজিস্টিক শিল্পের চাহিদা পূরণের জন্য এবং কর্মপ্রবাহকে সহজতর করার জন্য ডিজাইন এবং নির্মাণ করা হয়েছে। বিমানবন্দরের এই নবনির্মিত কার্গো টার্মিনালটি অত্যাধুনিক সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত। এক্স-বিআইএস মেশিন থেকে শুরু করে থাকছে সর্বক্ষণের সিসিটিভির নজরদারি। পাশাপাশি থাকছে অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ও অতিরিক্ত অফিসের জন্য জায়গা সহ অন্যান্য সুবিধা। এই টার্মিনালটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যেন এয়ার কার্গো চলাচলে আরো সহজ হয়। এই টার্মিনালটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিল বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেড। কার্গো এর সমস্ত কাজ বা অপারেশন শুরু করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেয়েছে টার্মিনালটি। এই কার্গো টার্মিনাল বিমানবন্দরের ব্যবসাকে আরো অনেকটা উন্নত করবে এবং বিমানবন্দরের জন্য অতিরিক্ত সাফল্য বয়ে আনবে বলে আশাবাদী কতৃপক্ষ। এই নতুন টার্মিনালটি উদ্বোধন করেন শিল্প-বাণিজ্য ও উদ্যোগ বিভাগের মন্ত্রী শ্রীমতী ডঃ শশী পাঁজা । বেঙ্গল অ্যারোট্রোপলিস প্রজেক্টস লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও সিএফও মিসেস অঞ্জু মাদেকা। অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঞ্জু মাদেকা বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরের এই কার্গো টার্মিনালটি সারাদেশে বাণিজ্য তথা দ্রুত পণ্য নিয়ে আমদানি ও রপ্তানি ব্যাবস্থা কে আরও সহজতর করে তুলবে। বছরে প্রায় ২৫,০০০ মেট্রিক টনের ওপর কার্গো পৌঁছে দেওয়া যাবে। এই টার্মিনালের মাধ্যমে অববাহিকা অঞ্চলে অন্তর্মুখী এবং বহির্মুখী কার্গো চলাচলেরও বিশাল সম্ভাবনা থাকছে। ফল, কাঁচা সব্জি, মাছ সহ দৈনন্দিন ই-কমার্স, ঔষধ, চিকিৎসার সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি, নানা যন্ত্রাংশ এবং খুচরা জিনিসপত্র নিয়ে বানিজ্য করতে এই কার্গো টার্মিনালের ব্যাবহার করা হবে।’ অনুষ্ঠানে আগত এক কার্গো এজেন্ট বলেন, ‘কেএনআইএ বিমানবন্দর কৌশলগতভাবে এই অঞ্চলের এয়ার-কার্গো ব্যবসা-বানিজ্য করার জন্য আদর্শ। কার্গো টার্মিনালের অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত উন্মুক্তকরণ এ দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। বিমানবন্দরটি জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত থাকায় অতিরিক্ত সুবিধা রয়েছে। এই এয়ার-কার্গো চলাচল বিশেষ করে দ্রুত পচনশীল পণ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময় এবং পরিবহন খরচ অনেকটাই বাঁচাবে।’
previous post