সংবাদ কলকাতা: অবশেষে খোঁজ মিলল অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের। আজ ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন তিনি। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন-এর তথ্য পেয়ে তাঁকে তলব করে ইডি। জানা গিয়েছে, উল্টোরথে উপোস করে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী। এমনটাই দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। যদিও আজ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার সময় সায়নীর গলার সুর ছিল যথেষ্ট চড়া। এদিন সায়নী বলেন ,”আমি পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ছিলাম। আমায় ৪৮ ঘন্টার নোটিসে ডাকা হয়েছে। তবুও আমি এসেছি। প্রতিহিংসার কারণে আমাকে ডাকা হয়েছে। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব । ”
প্রসঙ্গত নিয়োগ তদন্তে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নীর আর্থিক লেনদেনের অনেক নথি হাতে আসে ইডি-র কাছে। পাশাপাশি , সায়নীর সাথে কুন্তল ঘোষের অনেক ছবি সামনে আসে। যা থেকে ধারণা হয় ,কুন্তলের অনেক কাছের লোক সায়নী। এমনকি সায়নীর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সায়নীকে একসঙ্গে একাধিকবার বাড়িতে আসতে দেখা গিয়েছে। এসব কারণে আজ শুক্রবার সকাল ১১টা ৩০মিনিটের মধ্যে সায়নীকে ইডি দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বুধবার থেকেই তিনি আচমকা উধাও হয়ে যান। সেজন্য আজ শুক্রবার তাঁর হাজিরা নিয়ে একাধিক সংশয় তৈরী হয়। সবার মনে প্রশ্ন জাগে ,তাহলে কি তিনি ইডি-র ভয়ে পালিয়েছেন ? আজ সেই জল্পনার অবসান ঘটল। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির হলেন সায়নী।
তাঁর পৌঁছানোর ঘন্টা খানেক আগেই সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। তখন সবাই বুঝে যান সায়নী আজ হাজিরা দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়ের ৭ মিনিট আগে অর্থাৎ ১১টা ২৩মিনিটে তিনি সিজিও-তে হাজির হয়ে যান। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজ্য সভানেত্রী এদিন হাসি মুখে দেখা দিলেও কুন্তল ঘোষ সংক্রান্ত সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান। সূত্রের খবর, এই দুদিন অন্তরালে থেকে ইডি-র মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সায়নী। হয়তো আইনজীবী ও শীর্ষ তৃণমূল নেতাদের কৌশলী পরামর্শ নিচ্ছিলেন। যাতে ইডি-র টানা জেরার মুখে তিনি ভেঙে না পড়েন।
previous post
next post