শঙ্কর মণ্ডল: আজ রামনবমী। ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের প্রতি আধ্যাত্মিক ভাবনা এবং পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের স্মরণে ধর্মীয় পুজো ও বিভিন্ন মিছিল সারা রাজ্যে সংগঠিত হয়েছে। যার সম্পূর্ণ সাংবিধানিক বৈধতা আছে। তথাপি এই রাজ্যে জেহাদীরা এতটাই সক্রিয় যে, তারা বিনা প্ররোচনায় এই মিছিলের ওপর হামলা করা থেকে বিরত থাকতে পারেন নি। দুর্ভাগ্যজনক হল, আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রেড রোডের নাট্যমঞ্চ থেকে এই হামলাকে বকলমে প্ররোচিত করলেন। কোনও তথ্য সংগ্রহ না করে মিছিলকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। আর তার ফলেই হাওড়ায় এই জেহাদীরা অন্যায় হামলা করতে সাহস পেল। সেটাই অত্যন্ত আশঙ্কার।
অন্যদিকে সিপিএম ও তৃণমূল যারা দুজনেই অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছে।সিপিএম পার্টিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ও তৃণমূল টাকা কামাতে এই কাজ করেছে। আর এখন এই দুই অসভ্য বর্বর দল নিজেদের মধ্যে প্রক্সি ওয়ার সংগঠিত করছে। যার সবটাই এক গভীর চক্রান্ত। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। যাতে জনগণ এই দুই দলের মধ্যে তাদের রায়কে বিভাজিত করে। আর এই দুই দলের যেকোনও দলই যদি ক্ষমতায় থাকে, তাহলে এদের দুজনেরই অভিমুখ হবে জেহাদীদের সমর্থন। আর তার ফলেই এই রাজ্যটা ধীরে ধীরে পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হবে। এটাই চক্রান্ত। আর এই রাজ্যের সিপিএম ও তৃণমূল দুই দলই এর ধারক ও বাহক।
আজ একের পর এক রাজ্য সরকারের চরম অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ, দুর্নীতি ও পুলিশের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করলেও কেবলমাত্র সনাতনীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আপাতদৃষ্টিতে যারা সেকুলারিজমের ধ্বজা তুলে ধরে, তারাও এই ধর্মীয় আক্রমণের বিরোধিতা করে না। বরং বকলমে মদত দেয়। তাই আজ রামনবমীর পূণ্যলগ্নে আমাদের শপথ নিতে হবে। হাওড়ার মিছিলের হামলাকে মুখ্যমন্ত্রীর দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা বলে মিছিলকারীদের বিরুদ্ধে যে নোংরা অভিযোগ করলেন, তাকে জানাই তীব্র ধীক্কার। আগামী দিনে আরও তীব্র হবে হিন্দু আন্দোলন। আগামী মাসেই হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের দাবী নিয়ে রাজ্যপালের কাছে হবে ডেপুটেশন ও আগামী ডিসেম্বরে রেড রোডে হবে বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে গীতা পাঠ।
next post