সংকল্প দে, বীরভূম: বীরভূম জেলার খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রক্তাক্ত ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও জেলা পরিষদের এক সদস্য। জানা গিয়েছে, শুক্রবার খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর নেতৃত্বে লোকপুর থানার বারাবন গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানেই কাঞ্চন বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত খয়রাশোল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আইনুস খানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন কাঞ্চন অধিকারী। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সেই মোতাবেক এদিন রুষপুর অঞ্চলের বারাবন গ্রামে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুবছর ধরে ব্লক তৃণমূল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এই সময়কালে এলাকায় খুনখারাপি রাহাজানি বন্ধ হয়েছে। সেই সমস্ত কার্যকলাপ চালানোর উদ্দেশ্যেই তাঁদের এই অভিপ্রায় বলে তৃণমূল ব্লক সভাপতির অভিযোগ।
লোকপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল সভাপতি কাঞ্চন অধিকারী এবং জেলা পরিষদ সদস্য নবগোপাল বাউরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানা যায়।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অপর গোষ্ঠীর বক্তব্য, যাঁরা কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত ভোটে সিপিএম এবং বিজেপির হয়ে ভোট করল, তাঁদের নিয়ে মিটিং করছে ব্লক সভাপতি। অথচ এই অঞ্চলের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই নিজের সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি নিয়েছেন। অন্য সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরে দলীয় কর্মসূচি মোতাবেক বিজয়া সম্মেলনকে ঘিরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁর অফিসে ডাক দেন। সেক্ষেত্রে ব্লক সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় বৈঠক ভেস্তে যায়। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত খয়রাশোল ব্লকে বিজয়া সম্মেলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে খয়রাশোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদে থাকাকালীন তিনজন নিহত হন আততায়ীর হাতে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন সহ পুলিশের টহলদারি বাড়ানো হয়েছে।
previous post