সংবাদ কলকাতা: সোমবার হুগলির ত্রিবেণীতে গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে কুম্ভস্নান সারলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন ভারতের মুক্তবেণী বলে পরিচিত এই সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নান সারেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। ছিলেন বিভিন্ন মঠ, মন্দিরের সাধুসন্ত ও নাগা সন্ন্যাসীরা। এদিন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজ থেকে ৭০৪ বছর আগে বহিঃশত্রুর আক্রমণের জন্য এই কুম্ভস্নান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বালুরঘাটের অন্তর্গত গঙ্গারামপুর বা দেবকোটের মুসলিম শাসকরা বলপূর্বক এটি বন্ধ করে দিয়েছিল।
এদিন সুকান্ত অভিযোগ করেন, এটাকে তৃণমূল বন্ধ করার চেষ্টা করছিল। সেজন্য প্রথমে এটির অনুমতি দেয়নি। শেষে এই কুম্ভস্নানকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, বাংলায় হিন্দুত্বের পুনর্জাগরণ ঘটছে। বাংলা আবার আগের জায়গায় ফিরে আসবে। সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে আমেরিকাবাসী কাঞ্চন ব্যানার্জির উদ্যোগে ফের এই কুম্ভস্নান শুরু হয়েছে। মহাভারতেও এই ত্রিবেণীর উল্লেখ আছে। কথিত আছে, পাণ্ডবরা বনবাসকালে মহর্ষি দ্বৈপায়নের কাছে বিভিন্ন তীর্থস্থান এবং বিভিন্ন পুণ্যতীর্থ স্নান সম্পর্কে জানতে চান। তখন ঋষি দ্বৈপায়ন এই কুম্ভস্নান ত্রিবেণীর উল্লেখ করেন।
আমেরিকাবাসী লেখক ও গবেষক কাঞ্চন ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রামাণ্য তথ্য ঘেঁটে দেখেন, প্রাচীনকাল থেকে এখানে কুম্ভস্নান হতো। সারা ভারতের পুণ্যার্থীরা এখানে স্নান করতে আসতেন। কিন্তু, বহিঃশত্রুর আক্রমণের ফলে সেই স্নান বন্ধ হয়ে যায়। কথিত আছে, মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারার পর পুণ্যার্থীরা পায়ে হেঁটে ত্রিবেণীতে আসতেন। এখানে কুম্ভস্নান সারার পর সাধু সন্তরা আশ্রমে ফিরে যেতেন। এই ত্রিবেণীকে মুক্তবেণী বলা হয়। অন্যদিকে প্রয়াগকে যুক্তবেণী বলা হয়।
previous post
next post