December 27, 2024
দেশ

ত্রিপুরাকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশি রোহিঙ্গারা

আগরতলা, ২৪ ডিসেম্বর– মায়ানমারে জুন্টা সরকার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হাজারে-হাজারে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালতে বাধ্য হয়েছে। চোরাপথে তারা মায়ানমারের পার্শ্ববর্তী ভারত-বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অন্যদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে সংখ্যালঘু হিন্দু তথা বাংলাদেশের নাগরিকরাও। রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী দুইয়ের ক্ষেত্রেই  ভারতে প্রবেশে জন্য সব থেকে সোজা পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা। ত্রিপুরা হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশিরা। এই অনুপ্রবেশ ভারতের কাছে বড়োসড়ো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 
বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় শিরোনামে বাংলাদেশ। এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশেই বিক্ষোভের সম্মুখীন হচ্ছে ইউনূস সরকার। অগ্নিগর্ভ সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশিরা গণহারে ভারতের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সীমান্তে কাঁটাতার পেরিয়ে এদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
ইতিমধ্যে ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে দুই শতাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ত্রিপুরা পুলিশ ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তে কাঁটাতার ডিঙিয়ে বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসছে ত্রিপুরায়। তারা আবার ট্রেনে করে চলে যাচ্ছে কলকাতার উদ্দেশে।।
সম্প্রতি খোয়াই শহরের একটি হোটেল থেকে সন্দেহভাজন মহিলা ও শিশু-সহ এক পরিবারের ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আশঙ্কার খবর হলো ধৃতরা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক হলেও তাদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের জাল নথি উদ্ধার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওরা বাংলাদেশ থেকে গোপন পথে প্রথমে দিল্লিতে যায়। সেখান থেকে আবার ফিরে খোয়াই শহরের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
এই রোহিঙ্গা পরিবার গ্রেপ্তার হতেই প্রশাসনের কাছে সাম্প্রতিক অশান্তির সুযোগ নিয়ে আরও যে সমস্ত রোহিঙ্গা গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ থেকে এপারে এসেছে তারা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এখনও তাদের হদিশ পাওয়া যায়নি। মূলত ত্রিপুরা হয়ে ভারতে প্রবেশ করে কেউ দিল্লি, কেউ কলকাতা বা কেউ অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। চিন্তার বিষয় হলো গত কয়েক দিনে শুধু ত্রিপুরা পুলিশের হাতে মোট ৮৭ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে। উদ্বেগজনক বিষয় হল এদের মধ্যে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০। সংখ্যালঘু হিন্দুও মাত্র ১০ জন।

Related posts

Leave a Comment