24 C
Kolkata
April 17, 2025
কলকাতা

তৃণমূলের যুব সভাপতিকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে পোস্টার

বিশেষ সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি। কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পড়ল সেই হুমকি পোস্টার। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে, ‘দেবাশীষ তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি’। পাশাপাশি পোস্টারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কাকদ্বীপে আরেকটা আবুজেল মোল্লার ঘটনা ঘটুক তেমন যদি না চাস, তাহলে সাবধান হ’।

আজ শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তে এই পোস্টারটা দেখা যায়। আর এই হুমকি পোস্টার দেখে ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি দেবাশীষ দাস। স্বাভাবিকভাবে অন্যদিকে এই পোস্টারকে ঘিরে তীব্র চঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে হারুড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ। সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জানান, ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ পুলিশের কাছে এসে পৌঁছেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এর পাশাপাশি সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি দেবাশীষ দাসকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবাশীষ দাস বলেন, প্রতিদিনের মতনই আমি যখন এলাকায় বেরিয়েছিলাম তখন বেশ কয়েকজন এলাকাবাসি এই পোস্টার আমাকে দেখায়। পোস্টারে বড় বড় করে লেখা রয়েছে আমার প্রাণ সংশয় হতে পারে। কে বা কারা আমাকে খুন করতে চাইছে আমি বুঝতে পারছিনা। কিন্তু আমি এই গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশ, প্রশাসন ও দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আতঙ্কেও রয়েছি।

এ বিষয়ে রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপ্তি দাস বলেন, এই পোস্টার বিজেপির কর্মী সমর্থকরাই লাগিয়েছে। গোটা বিষয় আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে। এই বিষয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস জানান, বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এই হুমকি পোস্টার লাগায়নি। এই হুমকি পোস্টার তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরাই লাগিয়েছে। আমরা সংগঠনিক দল। আমরা নিজেদের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু এই রকম কাজ শুধুমাত্র তৃণমূলরাই করতে পারে। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর সেই গোষ্ঠী কোন্দল থেকে বাঁচতে বিজেপির ওপর দোষারোপ করছে। প্রশাসন এই ঘটনার তদন্ত শুরু করুক এবং এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত রয়েছে, তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।

Related posts

Leave a Comment