শঙ্কর মন্ডল: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছে এই বাংলা সহ সমগ্র ভারতবর্ষ। সমগ্র পরিবেশ হিন্দুত্ব নিয়ে, মানে একদিকে গঙ্গাসাগর মেলা, যা কলকাতার বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকা মেতে উঠেছে আর অন্যদিকে স্বামীজির বসতবাড়ি সিমলা স্ট্রিট। ভাবগম্ভীর পরিবেশ ও আধ্যাত্মিক ভাবাদর্শে মনোনিবেশ করতে মানুষ সমবেত হচ্ছেন বা হবেন। জীব সেবাই শিব সেবার মন্ত্র উচ্চারিত হবে।
কিন্তু এই চরম অসহিষ্ণু সরকার একের পর এক যেভাবে আইন তো বটেই এমনকি মানবিকতাকে একপ্রকার হত্যা করতে চায়, তার বহু উদাহরণ থাকলেও সবচেয়ে লজ্জাকর ঘটনা হল, মুর্শিদাবাদে মায়ের মৃতদেহ নিয়ে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার যে করুণ দৃশ্য সারা পৃথিবী দেখেছে, যা দেখে আমাদের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে। সেই সময়ে যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ওই লজ্জা নিবারণ করতে এগিয়ে আসে, রাজ্য সরকার তার প্রতিনিধিকেই গ্রেফতার করল। এটা একটা মারাত্মক ঘটনা।
এই রাজ্যের প্রশাসন যে ভুমিকা পালন করছে, তাতে তালিবান সরকারের প্রশাসনও লজ্জা পাবে, এদের সরকারের দাসত্বগিরি দেখে। আর বিচার ব্যবস্থার ওপর আঘাত করার পর, যখন সারা দেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে, তখন খরগোশের মুখ লুকানোর মতো ঘোষণা করছে যোধপুর পার্ক ও হাইকোর্টের পোস্টার মারা লোকেদের খুঁজে বের করা হবে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হল না সিসিটিভির ফুটেজ থাকার পরেও।
এছাড়া আজ মাননীয়া, বাবুঘাটের গঙ্গাসাগর মেলায় উপস্থিত হয়ে এমন ভাষণ দিলেন, যাতে মনে হবে এই হিন্দুত্বের সব নিয়ম, আচার, বিচার একমাত্র ওনারই জানা। আর কেউ তা পারবে না। গতকাল গঙ্গা আরতি নিয়ে যে চরম অসহিষ্ণুতা দেখালেন, অথচ আজ তিনি ঐ একই স্থানে যেভাবে গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি নিতে বললেন, এতে এটাই প্রমাণ করে যে, গঙ্গা আরতির অধিকার কেবলমাত্র মমতা ব্যানার্জিরই আছে। আর কারও নেই। সুতরাং একদিকে ব্যাপক জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয়তা, চোর জোচ্চোর চিটিংবাজদের দলীয় উপস্থিতি আর অন্যদিকে সনাতনীদের বন্ধু সেজে তাদের ধ্বংস করার উদ্যোগ নেওয়া। তৃণমূলের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে চাই শক্তিশালী সনাতনী ঐক্য।
লেখক সংযুক্ত হিন্দু ফ্রন্টের সভাপতি। এই নিবন্ধের সমস্ত মতামত তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত।
Email:sangbadkolkata@gmail.com
