কাঁপছে উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। পারদ পতনে ঘন কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা শূন্য। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন ও বিমান চলাচল পরিষেবা। দিল্লি, লখনউ, বেঙ্গালুরু, অমৃতসর ও গুয়াহাটিতে ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিল্লিগামী প্রায় ২৪টি ট্রেন দেরিতে চলছে। বহু ট্রেনের যাত্রার সময় বদল করা হয়েছে। রাজধানী দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্ট ২০২টি বিমান দেরিতে চলছে।
আজ, শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের প্রভাব প্রায় একইরকম থাকবে। জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে রবিবার থেকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাতাসে বৃদ্ধি পাবে জলীয় বাষ্প। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা এইচ আর বিশ্বাস জানান, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাময়িকভাবে বাড়লেও তা ১৬-১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সরাসরি প্রভাব পড়তে চলেছে পশ্চিম হিমালয় সংলগ্ন উত্তর ভারতের কিছু এলাকায়। এই কারণেই উত্তুরে হাওয়া কমজোরি হওয়ার ফলে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আগামী সপ্তাহেই ফের কনকনে শীত ফিরে আসবে।
নয়াদিল্লির সফদরজং বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারে নামে। দুটি বিমানবন্দরেই বাণিজ্যিক বিমান ওঠানামা বন্ধ করে দেওয়া হয়। খারাপ আবহাওয়ার জেরে স্পাইসজেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দেরিতে চলছে। শুধু বিমান নয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।
দিল্লিগামী প্রায় ২৪টি ট্রেন দেরিতে চলছে। অযোধ্যা এক্সপ্রেস ৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। এদিকে গোরখধাম এক্সপ্রেস দুই ঘণ্টারও বেশি দেরিতে চলছে। বিহার ক্রান্তি এক্সপ্রেস এবং শ্রম শক্তি এক্সপ্রেস তিন ঘণ্টারও বেশি দেরিতে চলছে খবর। শুক্রবার দিল্লি, অমৃতসর, বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, লখনউ ঘন কুয়াশার সর্তকবার্তা জারি করেছে মৌসম ভবন। হিমাচল প্রদেশের একাংশ ও লাদাখে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সম্ভাব্য সর্বনিম্ন ৭.৬ ডিগ্রি। যা এই মরশুমে রাজধানীর পঞ্চম শীতলতম দিন। সঙ্গে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।জানা যাচ্ছে, সকাল ৮টা নাগাদ দিল্লির পালাম এয়ারপোর্টে দৃশ্যমানতা শূন্যতে নেমে আসে।
previous post