নতুন দিল্লি: জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। ডোপিং টেস্টে তাঁর শরীরে ধরা পড়েছে হাইজিনামিন নামে এক ধরণের নিষিদ্ধ পদার্থ। যা বিটা-২ এর অধীনে পড়ে। এটি বিশ্ব অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ ড্রাগসের তালিকায় রয়েছে। হাইজিনামিন ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ডোপিং বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁকে। দীপার নির্বাসনের খবর আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক ফেডারেশনকে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি।
যদিও এই বছরের ১০ জুলাইতেই শেষ হবে তাঁর নির্বাসনের মেয়াদ। কারণ এই নির্বাসন শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর থেকে। এই সময়ে তাঁর শরীর থেকে নেওয়া নমুনায় এই নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। সেজন্য এই সময় থেকেই ধরা হয়েছে তাঁর নির্বাসনের শুরু। এই বছরের ১১ অক্টোবর থেকে দীপার সমস্ত সাফল্য বাতিল বলে গণ্য করা হবে। আন্তর্জাতিক জিমন্যাস্টিক সংস্থার অ্যান্টি ডোপিং বিধি অনুযায়ী এমনটাই জানানো হয়েছে।
দীপার ডোপিং বিধি ভঙ্গের বিষয়টি গত বছরেই স্পষ্ট হয়েছিল। তবে নির্বাসনের বিষয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না দীপা ও তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী। এব্যাপারে ভারতীয় জিমন্যাস্টিক সংস্থাও নীরব ছিল। তবে এবার অফিসিয়ালি দীপার বিরুদ্ধে নির্বাসন জারির বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত রিও অলিম্পিকে চতুর্থ স্থানাধিকারী ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা। ডোপ পরীক্ষার জন্য ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির (WADA) তরফে বহুবার ডাকা হয়েছিল দীপাকে। তিনি সেই ডাক উপেক্ষা করেন। যে কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
previous post
next post
