29 C
Kolkata
June 25, 2025
জেলা

টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত তিস্তা ও জলঢাকা, জারি লাল সতর্কতা

জলপাইগুড়ি: বর্ষার জলে টইটুম্বুর তিস্তা ও জলঢাকা। দুকূল ছাপিয়ে উপচে পড়ছে জল। দুই নদীর জল এখন বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সংরক্ষিত এলাকাতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই দুই এলাকাতেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বুধবার রাতভর জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির জেরে এলাকায় প্রায় অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন কালো মেঘে ঢাকা গোটা আকাশ। সকাল থেকেই অনবরত ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। রাস্তাঘাট অনেকটা শুনশানই বলা চলে। যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। দিনের বেলাতেও আলো জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে জেলা আকাশ। তবে দিনভর যদি একই রকম পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে হয়তো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে জেলায় এবং সন্নিহিত এলাকায়। জলপাইগুড়ি পুরসভার বেশ কিছু এলাকায় নিকাশিব্যবস্থা ঠিকঠাক না থাকার দরুন বেশ কিছু জায়গায় জল জমে গিয়েছে। যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের মুখে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এনএইচ-৩১ থেকে মাথাভাঙাগামী জলঢাকা নদীর সংরক্ষিত এলাকাতে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। এর জেরে দুই তীরের বাসিন্দারা জলস্তর বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন। ফুলেফেঁপে রয়েছে জলপাইগুড়ির শহরের বুক চিরে চলে যাওয়া করলা নদীও। প্রশাসন ইতিমধ্যেই নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে মাইকিং করছে। জলমগ্ন এলাকা থেকে কিছু মানুষকে সরিয়েও আনা হয়েছে। রান্না করা খাবারও বিলি করা হয়েছে কিছু এলাকায়।

জলপাইগুড়ি শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নীচমাঠ এলাকায় জল ঢুকে যায়। এতে প্রায় ২০০ বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে বহু বাসিন্দা সরে আসেন। জল বেড়ে যাওয়ায় নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু এনিয়ে বলেন, কয়েকটি জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড শেল্টারে সরানো হয়েছে। রান্না করা ও শুকনো খাবারও বিলি করার চেষ্টা হচ্ছে।

সেচদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে বৃষ্টির পরিমাণ ৩৭.৭০ মিমি, মালবাজারে ১১৩.৭৬ মিমি, শিলিগুড়িতে ১২৫ মিমি, হাসিমারায় ১৪০ মিমি, মাথাভাঙায় ২৩.৪০ মিমি, তুফানগঞ্জে ১১.২০ মিমি, ময়নাগুড়িতে ৪৩ মিমি, আলিপুরদুয়ারে ৩৭.২০ মিমি এবং কোচবিহারে ৮.৬০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।

Related posts

Leave a Comment