সুভাষ পাল, সংবাদ কলকাতা: এসএসসির পর এবার টেট। ২০১৪ সালের টেট থেকে কতজনের ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে, আঁচ করতে চাইছে আদালত। সেজন্য ওই বছরে নিযুক্ত শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার এই চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চাকরি প্রাপকদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কে কত নম্বর পেয়েছিলেন সেটাও তালিকায় তুলে ধরতে বলেন। আদালতের নির্দেশ মেনে আগামী ৩০ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেই তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি নিয়োগেই উঠছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ। এর আগে এই নিয়োগে ২৬৮ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বয়ান অনুযায়ী, ২০১৪ টেট পরীক্ষায় একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। সেজন্য যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের ১ নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে তাঁরা টেট পরীক্ষায় পাশ করে যান। কিন্তু, সেই নির্দেশে ছিল অনেক অস্বচ্ছতা। সেজন্য ওই নিয়োগ বাতিল করে আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ ও ২০২০ সালে দুই দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল ৫৯ হাজার ৪৪৯ জনকে। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্র্নীতি নিয়ে মামলা করেছিলেন রমেশ মালি ও সৌমেন নন্দী নামে দুই ব্যক্তি। তাঁদের অভিযোগ, পরীক্ষায় কোনও কিছু না লিখে শুধুমাত্র সাদা খাতা জমা দিয়ে বহু লোক প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। তাঁদের আরও অভিযোগ, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও অনেককে চাকরি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার তদন্ত শুরু করল আদালত।
previous post