সংবাদ কলকাতা, ১৩ জানুয়ারি: জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১১ কোটি টাকা। এই বিপুল টাকার উৎস কী? তা জানতে তাঁকে তলব করল আয়কর দপ্তর। যদিও রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, শ্রমিকদের বেতন ও চাষিদের ফসলের দাম নগদেই মেটানো হয়। সেজন্য সব সময় কিছু নগদ টাকা কাছে রাখতে হয়। তাঁর প্রায় সাত হাজার কর্মী রয়েছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূল নেতা। তবে এসব কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বললেও আয়কর দপ্তরকে জানানো হয়নি বলে সূত্রের খবর। সেজন্য আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে জাকির হোসেনকে তলব করা হয়েছে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে আয়ের প্রমাণপত্র। গত পাঁচ বছরে আয়ের প্রমাণ ও আয়করের নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আয়কর দপ্তর হানা দেয় তাঁর বাড়ি, চালকল, বিড়ির কারখানা ও অফিসে। প্রায় ১৭ ঘণ্টা চলে ম্যারাথন তল্লাশি। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটি টাকা। কিন্তু চালকলে লুকিয়ে রাখা একটি কাটুন থেকে উদ্ধার হয় ৯ কোটি টাকা। এই বিপুল নগদ টাকা কোথা থেকে এল? কেনই বা রাখা হয়েছিল তা জানতে চায় আয়কর দপ্তর।
জাকির হোসেন দাবি করে আসছেন, প্রায় ৭০০০ মানুষ তাঁর বিড়ি কারখানায় কাজ করেন। সপ্তাহ শেষে তাঁদের মজুরির টাকা দিতে হয়। আর সেই টাকা তিনি নগদেই মেটান। এছাড়া চালকলের জন্য প্রচুর ধান কিনতে হয়। যার দাম তিনি নগদেই মিটিয়ে দেন বলে দাবি করেন। সেজন্যই প্রচুর নগদ টাকা তাঁর কাছে রাখতে হয়। যদিও জাকির হোসেন দাবি করে আসছেন, তদন্তে তিনি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তদন্তকারী আধিকারিকরা সেকথা নথিতে লিখে দিয়েছেন।
previous post