31 C
Kolkata
April 16, 2025
দেশ

ঝাঁসি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

দুর্ঘটনাগ্রস্ত ঝাঁসি হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের ভিড়। সংগৃহীত চিত্র

রবিবার ঝাঁসি মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যখন একটি শর্ট সার্কিটের ফলে এনআইসিইউ-তে আগুন ধরে যায় এবং প্রাথমিকভাবে ১০টি নবজাতকের মৃত্যু হয়।

রবিবার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবিনাশ কুমার চিকিৎসার সময় আরও একটি শিশুর মৃত্যুর খবর দেন। যার ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১১-এ পৌঁছেছে। ঘটনার সময়, এসএনসিইউ-তে ৪৯টি নবজাতক ছিল। যার মধ্যে ৩৯টিকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও হাসপাতাল প্রশাসন আগুন লাগার জন্য শর্ট সার্কিটকে দায়ী করেছে। তবে ঠিক কীভাবে বৈদ্যুতিক ব্যর্থতা ঘটেছে, সে সম্পর্কে কর্মকর্তারা এখনও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, এস. এন. সি. ইউ-তে অতিরিক্ত চিকিৎসা সরঞ্জামের কারণে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। ফলস্বরূপ স্ফুলিঙ্গগুলি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরকে জ্বালিয়ে দেয় এবং আগুনকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের অন্যান্য সম্ভাব্য কারণের তদন্ত অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এস. এন. সি. ইউ প্রাথমিকভাবে জন্ডিস এবং নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত নবজাতকদের যত্ন নেয়।

বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, ঘটনার সময় ওয়ার্ডটি তার নির্ধারিত ক্ষমতার তিনগুণ জায়গা করে নিয়েছিল। ফলস্বরূপ, ওয়ার্মার এবং মনিটরিং ডিভাইসের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামগুলিকে ক্রমাগত কাজ করতে হয়েছিল। যার ফলে সেগুলি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে হাসপাতাল প্রশাসন এই সরঞ্জামের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে অতিরিক্ত গরম, শর্ট সার্কিট এবং শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন পাইপ ফুটো হয়ে যায়। সেই ফুটো অক্সিজেন আগুনের শিখা জ্বালিয়ে দেয়। যা দ্রুত ওয়ার্ডকে গ্রাস করে।

চিফ ফায়ার অফিসার রাজকিশোর রাই ওভারলোডকে শর্ট সার্কিটের সম্ভাব্য কারণ হিসাবে নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে, ঘটনার অন্যান্য দিকগুলি তদন্তাধীন রয়েছে। এই ঘটনা হাসপাতালে অতিরিক্ত ভিড়, পরিকাঠামো নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক অবহেলা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। কর্তৃপক্ষ জবাবদিহিতা নির্ধারণের জন্য একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

Related posts

Leave a Comment