21 C
Kolkata
December 25, 2024
রাজ্য

জি ২০-র নৈশভোজে হাসিনা ও মমতার সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা, আলোচনায় উঠে আসতে পারে তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গ

নতুন দিল্লি, ৮ সেপ্টেম্বর: জি-২০ সম্মেলনের আগের দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকে তিনটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির বৈঠকে যে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, সেগুলি হল, ১) ভারতীয় ও বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময়ের পথ সহজ করা, ২) দুই দেশের কৃষি ও সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান, ৩) ভারতের এনপিসিআই ও বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মধ্যে নেটওয়ার্ক টু নেটওয়ার্ক চুক্তি। যা উভয় দেশের আর্থিক লেনদেনের পথকে সুগম করবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ ও রেলপথের কয়েকটি প্রকল্পের আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল।

এদিকে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এরজন্য তিনি দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমালোচনার মুখে পড়ছেন। এমনকি তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভারতের স্বার্থ পোষণ করে চলছেন বলে দাবি করছে তারা। সেজন্য এবার জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্মতি থাকলেও বাদ সাধছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তিস্তার পরিবর্তে অন্য নদীর জলবণ্টন চুক্তির কথা বলছেন। কারণ, তাঁর দাবি, তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হলে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু কৃষি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সব ভেবে এবিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। মোদি জানিয়েছেন, তিস্তা জলবণ্টনে ভারত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে সামগ্রিকভাবে সহমতের ভিত্তিতে যাতে এই জলবন্টন চুক্তি হতে পারে সেই রাস্তা খোঁজা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, জি ২০-র রাষ্ট্রীয় নৈশভোজে আমন্ত্রিত মমতা। এই সম্মেলনে যোগ দিতে তিনি এদিনই দিল্লি এসে পৌঁছেছেন। আগামীকাল সেই নৈশভোজে থাকছেন শেখ হাসিনাও। দুজনের মুখোমুখি দেখা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ফলে মমতার সঙ্গে হাসিনার তিস্তা জল চুক্তি প্রসঙ্গ ফের উঠে আসতে পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করে তিস্তার জল বাংলাদেশকে দেওয়ায় তীব্র আপত্তি রয়েছে মমতার। তিনি দফায় দফায় প্রস্তাব দিয়েছেন, বিকল্প নদীর জল বণ্টন করা যেতে পারে।

Related posts

Leave a Comment