নতুন দিল্লি, ১০ সেপ্টেম্বর: আজ জি-২০ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এদিন সকাল সকাল রাজঘাটে হাজির হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর ৯টা নাগাদ এক এক করে উপস্থিত হন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, জাপানের ফুমিও কিশিদা, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক সহ অন্যান্য রাষ্ট্রনেতারা জড়ো হন মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত রাজঘাটে। যদিও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী একটু বিলম্বে এসে পৌঁছন। কারণ ধর্মপ্রাণ ঋষি সুনক সাত সকালে স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন। রাজঘাটে সেই সময় চলছিল গান্ধীজির প্রিয় ধর্মীয় সঙ্গীতগুলির লাইভ অনুষ্ঠান। সেখানে আগত রাষ্ট্রনেতাদের প্রত্যেককে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তাঁদেরকে প্রথমে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান। মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে সকল রাষ্ট্রনেতারা এক এক করে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতাদের নিয়ে ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে এসে সম্মেলনের দ্বিতীয় সেশন শুরু করেন। আজকের বৈঠকের এজেন্ডা হিসেবে ‘এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানকে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে কার্যক্রমেও ইংরেজদের দেওয়া ‘ইন্ডিয়া’ নামটি কার্যত ছেঁটে ফেলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গান্ধীর সমাধিতে অর্পিত পুষ্পার্ঘ্যের ওপর স্পষ্টভাবে লেখা হয় রিপাবলিক অফ ভারত। যা দেখে আপ্লুত ব্রিটেন সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রনেতারা। তাঁরা ভারতের নিজস্বতা বা স্বকীয়তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের বিভিন্ন নেতাদের। কারণ, ক্রমশ ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি দেশের মানুষের কাছে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। এরফলে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে এই জোটের বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দলগুলি। ‘ইন্ডিয়া’ নাম নিয়ে তাঁদের দুর্নীতির সাজা থেকে রেহাই পাওয়ার যে পরিকল্পনা, তা কার্যত মাঠে মারা যেতে বসেছে।
previous post