সংবাদ কলকাতা, গাইঘাটা: নেপথ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তাই বড় বালাই। যেকোন ভাবেই হোক জিততে হবে পঞ্চায়েত। নইলে যে সর্বনাশ হয়ে যাবে। পাঁচ বছরে কয়েক কোটি টাকা। যতই হোক হাতছাড়া তো আর করা যাবে না। তারপরেও গত পাঁচ বছরের দূর্নীতির দায়ে যেতে হবে না তো শ্রীঘরে? সেটা তো লাখ টাকার প্রশ্ন। আর তার জন্য তো একটু চমক, ধমক, ব্যানার পতাকা ছেঁড়া, মানুষ খুন হতেই পারে, তাই না? তবে প্রশ্ন একটাই এ কেমন গনতন্ত্র?
হ্যাঁ, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ পাঁচপোতা গ্রামে। সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৪ নং এবং ১০০ নং বুথের বিজেপির ব্যানার লাগানো ছিলো পাঁচপোতা ঘোষ পাড়া সংলগ্ন পুকুর পাড়ে। পাশাপাশি ছিল শাসক দল তৃনমুলের ব্যানারও। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে কেউ বা কারা বিজেপির দুটি ব্যানার ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয়। যে ঘটনায় রীতিমতো শুরু হয়েছে চাপান উতর।
৯৪ নং বুথের বিজেপির প্রাক্তন গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য ও ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের বিজেপি প্রার্থী অনুপ বিশ্বাস সরাসরি শাসক দলের দিকে আঙুল তুলে বলেন,” যারা এই কাজ করেছে তারা ভীতু ও কাপুরুষ। সামনাসামনি লড়াই করার সাহস না থাকাই তারা পিছন থেকে আক্রমণ করছে। এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। মানুষের আশীর্বাদ আমাদের সাথে আছে। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ আমাদের দুহাত তুলে আশীর্বাদ করবে। কারন সুটিয়া পঞ্চায়েতের দূর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে এবং মানুষ সেটা জানে।” খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় সুটিয়া পঞায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা নির্বাচনী কনভেনার বাবলু দাস মহাশয়। সংবাদ দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্তের আস্বাস দিয়েছে।
কিন্তু এতে কি সমস্যার সমাধান হবে? এলাকার সাধারন মানুষের বক্তব্য, এই এলাকায় শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয় সমস্ত ভোট। ইতিপূর্বে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা পাঁচপোতা ও তত সংলগ্ন অঞ্চলে ঘটেনি।তাই এবারের পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করছে সাধারন ভোটারদের একাংশ।