চোপড়া, ২১ জুন: অবশেষে আজ, বুধবার চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হল। ২৩ বছরের প্রয়াত ওই সিপিএম কর্মীর নাম মনসুর আলম। গত ১৫ জুন দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তাঁর মাথায় গুলি লাগে। পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। এই নিয়ে এবার পঞ্চায়েত ভোটার মনোনয়নকে কেন্দ্র করে হিংসার বলি হয়েছেন মোট ৮জন। মৃতদের মধ্যে শাসকদল তৃণমূলের কর্মীও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। ওইদিন বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন। কাঁঠালবাড়ি এলাকায় তাঁদের মিছিলে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিতে জখম হন বেশ কয়েকজন বাম ও সিপিএম কর্মী। ওইদিনই তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। প্রথমে জখমদের স্থানীয় প্রাথমিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহতদের বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু, তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব সেই অভিযোগ অস্বীকার করে। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একই কথা বলেন। মমতা জানান, ‘ইসলামপুর ও চোপড়ায় যা সমস্যা হয়েছে, তার সাথে পার্টি কোনওভাবে যুক্ত নেই। যারা করেছে তাদের আমরা টিকিট দিইনি। কাল পর্যন্ত তারা টিকিট চেয়েছে। তাদের কাজে আমরা সন্তুষ্ট নই বলে আমরা তাদের টিকিট দিইনি। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা দেখে মনোনয়ন দিয়েছি। ইসলামপুর ও চোপড়ার ঘটনায় পার্টি কোনওভাবে যুক্ত নয়। আমি পুলিশকে বলে দিয়েছি কড়া ব্যবস্থা নিতে।’
							previous post
						
						
					
