চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের সুবিচারের দাবিতে সুর চড়ালো ভারত। ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়ে দিল্লির বিদেশমন্ত্রকে জানিয়েছে, ‘সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর প্রতি সুবিচার করুন।’ প্রায় বিনা বিচারে বাংলাদেশের জেলে দেড় মাস বন্দি রয়েছেন ইস্কনের এই প্রাক্তন সন্ন্যাসী। বৃস্পতিবার চট্টগ্রাম আদালতে ফের খারিজ হয়ে গেছে তাঁর জামিনের আবেদন। জামিন না হওয়ার জন্য অনেকেই দায়ি করেছেন মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে। এবার বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ বাড়ালো দিল্লি।
বৃহস্পতিবার সকালে বন্দি সন্ন্যাসীর পক্ষে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবী। কিন্তু তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ‘ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। আমরা তাঁর দ্রুত সুবিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
গত ২৫ নভেম্বর সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ২৬ তারিখ চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয় তাঁকে। তারপর প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও জেলেই রয়েছেন চিন্ময় প্রভু। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে হবে যাবজ্জীবন জেল। জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমুদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, এটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা। জামিন নামঞ্জুর করেছে। কেউ ক্ষুব্ধ হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে হস্তক্ষেপ করলো ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।
previous post
next post