বারুইপুর, ৩ আগস্ট: চিকিৎসার জন্য রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালে কর্মরত এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্ত্বরে। সরকারি সাধারণত রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পেয়ে থাকে। কিন্তু সেখানে কর্মরত কর্মী কি করে এক রোগীর পরিবারের কাছ থেকে চিকিৎসার নাম করে টাকা চায়তে পারে, সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও, গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার কুলতলি থানার জামতলার বাসিন্দা ভগীরথ মণ্ডল টোটো দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁর মাথা ফেটে যায় ও হাত ভেঙে যায়। প্রথমে তাঁকে জয়নগরের কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। সেখান থেকে রাতেই তাকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আহতের বাবা পরীক্ষিত মণ্ডলের অভিযোগ, বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসককে দেখানো হলে চিকিৎসক সেলাই ও ব্যান্ডেজ করার কথা বলেন। আর সেই সেলাই ও ব্যান্ডেজ করে দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দাবি করেন হাসপাতালে কর্তব্যরত এক কর্মী। যুবকের বাবার দাবি, প্রথমে ৩০০ টাকা পরে আবার ১০০ টাকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয় সেলাই করার জন্য। আর এখানেই প্রশ্ন সরকারি হাসপাতালে কেনো সেলাই করার নামে টাকা নেওয়া হল। এই বিষয়ে বারুইপুর মহকুমার হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায় বলেন, ‘এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে এখনো এসে পৌঁছায়নি । যদি আমার কাছে অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তদন্ত শুরু করব এবং এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব। এটি সরকারি হাসপাতাল এখানে বিনামূল্যেই চিকিৎসা করা হয়। কারোর কাছে চিকিৎসার নামে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই আসেনা।’