সুমন মল্লিক, বনগাঁ, ১৫ অক্টোবর: গ্রামীণ ও পৌর এলাকার হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয় দৈনিক লটারি বিক্রির মাধ্যমে। এতদিন তাঁদের লটারি প্রতি সামান্য লভ্যাংশের পাশাপাশি পুরস্কার প্রতি সামান্য ভাউচার প্রাপ্তিই ছিল দৈনিক সম্বল। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন লটারি সংস্থা নিয়মের কড়াকড়ির মধ্যে বাধতে চাইছে সমগ্র ব্যবস্থাটিকে। যার ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ লটারি বিক্রেতাদের। দিনের পর দিন তাঁদের ভাউচার কমিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন লটারি সংস্থাগুলি। এবিষয়ে গাইঘাটার পাঁচপোতা বাজারের এক লটারি বিক্রেতা বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের লটারি বিক্রির কাজ ছেড়ে অন্য কাজের সন্ধান করতে হবে। কারণ, কোম্পানি আমাদের ভাউচার কমাতে কমাতে একেবারে তলানিতে নিয়ে এসেছে। বিক্রিত টিকিটের সামান্য লাভের উপর এই দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চলে না। তার উপর কোম্পানির অবিক্রীত টিকিট কোম্পানির ঘরে ফেরত দিতে গেলেও নানান ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। রিটার্ন টিকিট জমা দেওয়ার জন্য OTP চার্জ কাটা হচ্ছে এজেন্টদের থেকে। মনে হচ্ছে, কোম্পানির টিকিট বিক্রি করে আমরা অপরাধ করছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অন্য পথ দেখতে হবে।
বিক্রেতাদের আরও বক্তব্য, সম্প্রতি অবিক্রীত টিকিট রিটার্নের ক্ষেত্রে প্রতি খেলায় ৫ টাকা হিসাবে তাঁদের OTP চার্জ দিতে হচ্ছে। এজেন্টদের দাবি, তারা OTP চার্জ কেন দেবেন? অবিলম্বে এই অমানবিক নিয়ম বন্ধ করা হোক। পাশাপাশি, এজেন্টদের পেশাকে নিরাপদ করতে ভাউচার পূর্বের মতোই রাখা হোক।
LOTTERY: চরম সঙ্কটে লটারি বিক্রেতারা, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন গাইঘাটার এজেন্টরা
