বেঙ্গালুরু: অবশেষে সফল উৎক্ষেপণ হল চন্দ্রযান ৩-র। আজ, শুক্রবার দুপুর ২ টো ৩৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান ৩ রওনা হয়েছে। এলভিএম৩-এম৪ রকেটের পিঠে চেপে চাঁদে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। এর আগে ২০১৯ সালে চার বছর আগে একেবারে শেষমুহূর্তে চন্দ্রযান ২-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে স্বপ্নভঙ্গ হয়। অবশেষে চন্দ্রযান ৩-র হাত ধরে ফের সেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ভারত। প্রথমে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এরপর চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর আগামী ২৩ আগস্ট বিকেলের দিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ -এর উৎক্ষেপণ ছিল খুব সরল প্রক্রিয়ায়। সেক্ষেত্রে চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে একটি বস্তু নিক্ষেপের মতো চন্দ্রযান ১ নামানো হয়েছিল। সেসময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৃথিবীকে সরবরাহ করে ভারতের প্রথম চন্দ্রযান। সেবার চন্দ্রযান-১ প্রথম পৃথিবীকে জানায় চাঁদে জল আছে। যা নিয়ে চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা বা জনবসতি স্থাপনের একটি নতুন দিশা খুলে যায়।
কিন্তু ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ চাঁদে অবতরণের আগে সামান্য এদিক ওদিক হওয়ায় মিশন ব্যর্থ হয়। চাঁদের পিঠে ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার। সেই ভুল যাতে এবার না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সেজন্য এবার ‘ফেলিউর বেসড’ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে চন্দ্রযান ৩। আগের বারের মিশন অর্থাৎ চন্দ্রযান ২ তৈরি করা হয়েছিল ‘সাকসেস বেসড’ কায়দায়।
জানা গিয়েছে, সাকসেস বেসড পদ্ধতিতে কোনও কারণে পরিকল্পনা মাফিক সবকিছু না হলে মিশন ব্যর্থ হয়ে যায়। কিন্তু ফেলিউর বেসড পদ্ধতি ঠিক তার উল্টো। অর্থাৎ কোনও কারণে মিশনের কোনও পর্যায় ব্যর্থ হলে তার বিকল্প কায়দা থাকে। ফলে একটা ভুলের জন্য গোটা মিশন ব্যর্থ হয় না।
previous post