ঘাটাল, পশ্চিম মেদিনীপুর: ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই কেঠিয়া খালের উপর নতুন কেঠিয়া ব্রীজের।বছর দুই আগে ঘাটাল-চন্দ্রকোনা ৪ নম্বর রাজ্যসড়কে কেঠিয়া খালের উপর নতুন স্টিল ব্রীজ তৈরি করে পূর্ত দপ্তর।গত কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টির জেরে কেঠিয়া খালের উপর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছিল,বর্তমানে জল অনেকটাই কমে গিয়েছে।আর জল কমতেই কেঠিয়া ব্রীজে এই বিপত্তি দেখা যায়।খালের দুই পাড়ে কংক্রিটের পিলার তৈরি করে স্টিল ব্রীজ নির্মাণ করা হয়,ব্রীজের সাথে সংযোগ রাজ্যসড়কের।ব্রীজের একাংশের কংক্রিট পিলারের সাথে সংযোগকারী রাস্তার পিচিং বা গার্ডওয়াল ধসে গিয়ে বিপত্তি।
পিলারের একদিকের মাঠি ধসে যাওয়ায় আলগা হয়ে গিয়েছে পিলারের সাথে রাস্তার গার্ডওয়ালের অংশ।যার জেরে ধসে যাওয়া জায়গা ঘিরে দিয়ে বাকি জায়গা দিয়ে যানচলাচল চলছে।তবে খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পূর্ত দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।বিলম্ব না করে তড়িঘড়ি কাঠের বল্লি,বালি মোরাম মজুত করে ধসে যাওয়া অংশ মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে।তবে স্থানীয়দের দাবি,ব্রীজের সামনে রাস্তার ধারে যে অংশে বড় গর্ত দেখা গেছে সেই নতুন নই,অনেক দিনের।আগেই ওই গর্ত মেরামতের উদ্যোগ নিলে এই ঘটনা ঘটতো না।ওই গর্ত দিয়ে জল প্রবেশ করে মাটি ধসে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে দাবি এলাকাবাসীর।তবে এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসন থেকে পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, আতঙ্কের বা ভয়ের কিছু নেই।ব্রীজের মুল জায়গায় কোথাও কোনো ক্ষতি হয়নি,ব্রীজের পিলারে সাথে রাস্তার মধ্যে যে পিচিং বা গার্ডওয়াল ছিল তা ধসে গিয়েছে।
এটা তেমন কোনো সমস্যা নই,কাজ শুরু হয়েছে মেরামত হয়ে যাবে।দীর্ঘ দিন হয়ে থাকা রাস্তায় গর্ত দিয়ে জল প্রবেশের কথা স্বীকার করে পূর্ত দপ্তরের ডিগ্রি সাব ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ ভূঁইয়া জানান,কোনো কারণে গর্ত হয়ে গিয়েছিল,ওটা দিয়ে জল ঢুকেছে।”এবিষয়ে ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস
জানিয়েছেন,”প্রবল জলোচ্ছ্বাস,জলের এতো চাপ ছিল সাইডে একটু ব্রিচ হয়ে গিয়েছে,পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা কাজ শুরু করেছে,কাজ চলছে।এনিয়ে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই।”